হাসপাতাল সমজসেবা কার্যক্রম জোরদারকরণে সেমিনার অনুষ্ঠিত

0
341

তথ্য বিবরণী: খুলনা সমাজসেবা অধিদফতরের উদ্যোগে গতকাল সকালে সিএসএস আভা সেন্টারে ‘হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম জোরদারকরণ ও রোগীকল্যাণ সমিতির তহবিল বৃদ্ধি: বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে জানানো হয়, সমাজসেবা অধিদফতর হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় গরিব -দুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ, ক্র্যাচ, রক্ত, পথ্য, চশমা প্রদানসহ মৃতের সৎকার ও এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া প্রদান করে থাকে। এই সেবা প্রদানে সরকারি তহবিলের পাশাপাশি রোগীকল্যাণ সমিতির তহবিলের অর্থও ব্যবহৃত হয়। রোগীকল্যাণ সমিতি স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে দুঃস্থ্য রোগীদের সেবায় তা বিতরণ করে।
সেমিনারে রোগীকল্যাণ সমিতির তহবিল বৃদ্ধির জন্য সদস্যদের চাঁদা, যাকাত, দানশীল ব্যক্তিদের অনুদানসহ আরও কীভাবে তহবিল বৃদ্ধি ঘটানো যার সে বিষয়ে সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ জাকির হোসেন।
খুলনা সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক মাহবুবার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মোঃ ইকবাল হোসেন, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন, বিভাগীয় উপপরিচালক কানিজ মোস্তফা এবং সাবেক উপপরিচালক মোঃ আব্দুল হামিদ।
সেমিনারে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তাসহ রোগীকল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধি অংশ নেন। প্রসঙ্গত: বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৫৮ সালে চিকিৎসা সমাজসেবা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলার ১০১টি হাসপাতালে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ৯৫টি সরকারি হাসপাতালে এবং ছয়টি বেসরকারি হাসপাতালে কার্যক্রম চালু আছে। সরকারের সহায়তায় ৪১৯টি উপজেলায় উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে রোগীকল্যাণ সমিতি গঠন ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে যা সরকারি আর্তপীড়িতের সেবায় সম্পৃক্ত। হাসপাতাল সমাজসেবা এমন একটি কার্যক্রম যার মাধ্যমে হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে যথাসম্ভব সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণ ও কার্যকর করে তোলা সম্ভব।