স্বেচ্ছাশ্রমে পাইকগাছার সোলাদানায় ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ সংস্কার

0
138

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপকূলীয় জনপদ হিসেবে পরিচিত খুলনার পাইকগাছা। একথার আরোও একবার জানান দিল উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের সর্বোস্ততের মানুষ। শনিবার সকালে সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঘুর্ণিঝড় ইয়াস ও পুর্ণিমায় নদ-নদীতে বৃদ্ধি পাওয়া পানির প্রভাবে প্রবল জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্থ সোলাদানা ইউনিয়নের ওয়াপদার বেড়িবাাঁধ খুলনা-৬ (পাইকগাছা, কয়রা) আসনের সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী’র নির্দেশনায় স্থানীয় কয়েক শতাধিক মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করা হয়েছে। সম্প্রতি শিবসা নদীর জোয়ারের পানিতে ভাঙ্গনকৃত উপজেলার সোলাদানা ইউপির হরিখালী এলাকার ওয়াপদার বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজে স্থানীয় চেয়ারম্যান এস,এম, এনামুল হক, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ও আওয়ামীলীগনেতা আব্দুল মান্নান গাজী পৃথক পৃথক ভাবে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষদের নিয়ে অংশ নেয়। এদিকে পার্শ্ববর্তী লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কে,এম, আরিফুজ্জামান তুহিন তার এলাকার সর্বোস্তরের মানুষদের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ সংস্কার কাজে অংশ গ্রহণ করেন। সকালে শিবসা নদীতে ভাটা শুরু হলে হাজারো মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে উৎসবমুখর পরিবেশে দুপুরের জোয়ারের পানি বৃদ্ধির আগেই বেড়িবাঁধ স্বংস্কার কাজ শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিহাবউদ্দিন ফিরোজ বুলু, পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এজাজ শফী, উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী মোঃ ফরিদ উদ্দীন, এম এম আজিজুল হাকিম, রায়হান পারভেজ রনি, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ও সরকারি অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পুর্নিমার জোয়ারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ও বাঁধ উপচে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। সর্বোমোট ক্ষতিগ্রস্থ হয় প্রায় ২৭ কিলোমিটার ওয়াপদার বেড়িবাঁধ। এতে লোনা লোনা পানিতে প্লাবিত হয়ে ঘর-বাড়ি,রাস্তা-ঘাট,পানের বরজ, বিভিন্ন ফসল ও মৎস্যঘের ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে উপজেলায় প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তদ্মধ্যে উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নে সর্বাধিক প্রায় ৬ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পুরোপুরি পানিবন্দী হয়ে পড়ে দেড় শত পরিবার। তলিয়ে গেছে প্রায় ৫ হাজার বিঘা মৎস্য ঘের। সরেজমিনে স্থানীয়রা জানায়, বুধবার জোয়ারের প্রবল ¯্রােতের তোড়ে হরিখালি এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সোলাদানা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালিয়ারচক, ছালুবুনিয়া গ্রাম পুরোপুরি, ভিলেজ পাইকগাছার আংশিক ও সোলাদানার একাংশ লোনা পানিতে প্লাবিত হয়ে সবমিলিয়ে প্রায় কোটি টাকার উর্ধে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, সিপিপি, আনসার ও ভিডিপি সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সর্বসাধারণের স্বেচ্ছাশ্রমে স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ ও ঝুকিপূর্ন বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ চলছেূ। সর্বশেষ শনিবার সোলাদানায় ক্ষতিগ্রস্থ ওয়াপদার বেড়িবাঁধটি স্থানীয় জনগণের স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করা হয়েছে। সংকটময় সময়ে সর্বসাধারণের স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ স্বংস্কার কাজে অংশগ্রহণ সত্যিকার অর্থে সাম্প্রতিক সম্প্রীর জানান দেয় উল্লেখ করে সকলের প্রতি কৃতঞ্জতা প্রকাশ করেছেন তিনি ।

খুলনা টাইমস/এমআইআর