খুলনাটাইমস বিনোদন: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। ভোট প্রদান করতে এসে চিত্রনায়ক সোহেল রানা ভীষণ বিরক্ত। তার ভাষায় ‘এফডিসিকে তো পুলিশ ক্যাম্প মনে হচ্ছে, এটা নির্বাচন মনে হচ্ছে না। শিল্পীদের নির্বাচনে এত পুলিশ থাকবে কেন? তিনি আরো বলেন, ‘সিডাপের নির্বাচনও আরো আনন্দমুখর হয়। এখানে এত ধাপ পেরিয়ে ভোট দিতে কেন আসতে হবে? আমাকেও গেটে আটকেছিল। আমার সঙ্গে যারা এসেছেন তাদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। কেবল আমাকে প্রবেশ করতে দিয়েছে। বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভোট দিতে আসেন সোহেল রানা। ভোট দেয়ার পর আশা ব্যক্ত করে এ অভিনেতা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এবারের নির্বাচনে শিল্পীরা যাদের ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন, নেতৃত্বে এসে তারা শিল্পীদের নিরাশ করবেন না। গত ৫ অক্টোবর ২০১৯-২১ মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা থেকে জানা যায়, সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত জ্যাকি আলমগীর এবং ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন-অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।
