সাড়ে ১৯ লাখ বর্গফুট এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে করেছে ডিএনসিসি

0
299

খুলনাটাইমস ডেস্ক : করোনাভাইরাসের বিস্তর রোধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ৮টি পানির গাড়ির মাধ্যমে আজ নগরীর ১৯ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুট এলাকায় ১ লাখ ৩০ হাজার লিটার তরল জীবাণুনাশক স্প্রে করেছে। সিটি কর্পোরেশন নগরীর উত্তরা সেক্টর-৭, ৮, ৯ ও সংলগ্ন এলাকা; নিকুঞ্জ ও ডুমনি এলাকা; মিরপুর সেকশন ১০, ১৩, ১৪ ও সংলগ্ন এলাকা; ভাষাণটেক, মাটিকাটা ও সংলগ্ন এলাকা; টোলারবাগ, মডেল একাডেমি, কল্যাণপুর ও সংলগ্ন এলাকা; মোহাম্মদপূর টাউনহল, শিয়া মসজিদ ও সংলগ্ন এলাকা; ফার্মগেট, খিলগাঁও ও সংলগ্ন এলাকা; নাখালপাড়া, নাবিস্কো, বাড্ডা ও সংলগ্ন এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে করে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলিতে, মসজিদের সামনে মশক নিধনকর্মীরা হ্যান্ড স্প্রে ও হুইলব্যারো মেশিনের তরল জীবাণুনাশক স্প্রে করেছে। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিএনসিসির ফেইসবুক পেইজে প্রচার প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক স্টিকার লাগানো, বস্তিবাসীসহ প্রতিটি ওয়ার্ডে হাতধোয়া কার্যক্রমসহ জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হয়। এদিকে আজ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে মোট ২৮ হাজার ৮০০টি অসহায়, ছিন্নমূল ও দুঃস্থ পরিবারের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে ৫০০টি পরিবারের জন্য এবং সংরক্ষিত আসনের প্রতিটি কাউন্সিলরের মাধ্যমে ১০০টি পরিবারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রতিটি পরিবারকে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আলু এবং ১ লিটার তেল বিতরণ করা হবে। এতে প্রতিটি পরিবারের জন্য ৬শ’ টাকা হিসাবে ৫৪জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ১৮জন সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরের মাধ্যমে মোট ১ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকার খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হবে। ডিএনসিসির প্রতিটি পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং মশকনিধনকর্মীকে ২টি করে সাবান বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া ডিএনসিসি ও সেনাবাহিনীর যৌথ টহল ডিএনসিসির বিভিন্ন অঞ্চলে অব্যাহত রয়েছে। জনগণকে ঘরে অবস্থান করার জন্য তারা উদ্বুদ্ধ করছেন। ডিএনসিসির পক্ষে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা এ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। করোনাভাইরাস গণসংক্রমণ রোধে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণসহ সামাজিক দুরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০ টি অঞ্চলের প্রতিটিতে সশস্ত্র বাহিনীর সাথে সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।