সার্জিক্যাল ক্লিনিকে অব্যবস্থাপনায় সিজার : মাকে জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ দাবি

0
229

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরার তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিক চিকিৎসা সেবার নামে যেন এক কসাই খানা। ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ উঠলেও হুশ হচ্ছেনা কতৃপক্ষের। এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহন করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। আধুনিক চিকিৎসা সেবার নামে বাহারী প্রচার-প্রচারনায় প্রলুব্ধ হয়ে রোগী সাধারণের ভীঁড় যেমন বেড়েছে তেমনি, ভোগান্তিও বেড়েছে বহুগুণে।
সর্বশেষ গত ২০ মার্চ খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের মৃত আমজেদ সরদারের মেয়ে শিলা খাতুন(১৯) কে সিজার করার জন্য নেয়া হয় ক্লিনিকে। ঐদিন কর্তৃপক্ষ রোগীকে অক্সিজেন ছাড়াই সিজার সম্পন্ন করেন। প্রসূতি শিলার শারিরীক অবস্থা দূর্বল ও ভারী থাকায় বিনা অক্সিজেনে সিজার হওয়ায় প্রসূতি মা-নবজাতক দু’জনের অবস্থাই শংকার মধ্যে পড়ে। এক পর্যায়ে ২২ মার্চ সকালে নবজাতকের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে রেফার করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) খুলনায় চিকিৎসাধীন শিশুটির প্রয়োজনে সেখানকার ডাক্তাররা তার মাকে সেখানে নেওয়ার নির্দেশ দিলে বিয়টি তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিক কতৃপক্ষকে জানানো হয়। তবে বেকে বসেন সেখানকার কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, চুক্তির বাইরে মোট ১১ হাজার টাকা না দিলে প্রসুতি রোগীকে ছাড়বেননা তারা।
প্রসঙ্গত, শিলার সিজারে ওটি ওষুধ কেবিনসহ চুক্তি ছিল ৯ হাজার টাকা। তবে বর্তমানে তারা দাবি করছেন, ১১ হাজার টাকা। একদিকে কর্তৃপক্ষের ভ‚লে মা ও শিশুর জীবন যেখানে সংকটাপন্ন সেখানে উল্টো তারা রোগীকে জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা দাবি করছেন। এক পর্যায়ে তারা বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানালে তাদের হস্তক্ষেপে ৮ হাজার টাকা নিয়ে বিকেল ৪ টার দিকে রোগীকে ছেড়ে দেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। প্রসূতি শিলার ভাই ইব্রাহীম সরদার মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, খুলনায় শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে নবজাতক ভাগ্নে, অন্যদিকে বোন শিলা তালায় ক্লিনিকে জিম্মি। এমন অবস্থায় বারংবার কতৃপক্ষকে রোগী ছাড় করণের অনুরোধ জানালেও মালিক কথিত ডা: বিধানের দোহাই দিয়ে ম্যানেজার তাদের রীতিমত শাণিকভাবে হেনস্থা করেছেন। ক্লিনিক মালিক বিধানের সাথে কথা বলতে নীচ তলায় বহুক্ষণ অপেক্ষা করলেও তিনি নীচে আসেননি কিংবা তাদেরকে উপরেও উঠতে দেয়া হয়নি। এক পর্যায়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ৮ হাজার টাকা নিয়ে তার বোন শীলাকে ছাড়পত্র দেন তারা।
এব্যাপারে ক্লিনিক মালিক ডা: বিধান’র সাথে কথা বলতে তার মোবাইলে ফোন দিলেও রিসিভ করেননি তিনি। এব্যাপারে ভূক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।