সাতক্ষীরা দেবহাটার প্রধান শিক্ষকের কন্যা অপহরনের ঘটনায় তদন্তে মাঠে নামল পিবিআই

0
467

আব্দুর রব লিটু,দেবহাটা ; সাতক্ষীরার সদরের ফিংড়ি এলাকার বাসিন্দা ও দেবহাটার আন্দুলপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কন্যা শিমুলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণী পড়–য়া ছাত্রী আপহরনের ঘটনার ২ মাস ১১ দিন অতিবাহিত।এখনো উদ্ধার হয়নি ভিক্টিম। তদন্তে মাঠে নামল পিবিআই’র এক পরিদর্শন টিম। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পিবিআই খুলনার এসআই কাজী মোঃ হাসানের নেতৃত্বে ২ সদস্যের একটি টিম বিষয়টি তদন্ত আসেন। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীলসমাজের ব্যক্তি, সাধারণ মানুষের বিভিন্ন স্বাক্ষাতকার নেন পিবিআই কর্তৃপক্ষ। তা ছাড়া এ পরিদর্শন টিম ঘটনার সহযোগি স্থান চরবালিথা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েও পরিদর্শনেও যান। পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেবহাটা আন্দুলপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী গ্রামের স্বপন কুমার মিস্ত্রীর ৭ম শ্রেণী পড়–য়া কন্যাকে দক্ষিণ ফিংড়ী গ্রামের ওহিদুল শেখের পুত্র রায়হান শেখ বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে উত্তাক্ত করার জের ধরে ০১/১২/১৯ তারিখ সন্ধা ৬টার দিকে ভিক্টিম বাড়ির সামনে দিয়ে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় অপহরণকারী রায়হান শেখ তার সহযোগীদের সহযোগীতায় অপহরণ করে। পর দিন ২/১২/১৯ তাং দুপুরে ভিক্টিমকে পারুলিয়া কদবেলতলা মোড় থেকে উদ্ধার করে ভিক্টিমের পরিবার। ঐদিনই ভিক্টিমের বাবা স্বপন কুমার মিস্ত্রী বাদী হয়ে ৭/৩০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ ধারায় ঘটনা উল্লেখ করে মামালা দায়ের করে। এতে অপহরণকারী রায়হান শেখকে প্রধান আসামী করে তার সহযোগী আতœীয় সদর উপজেলার শিমুলবাড়ীয়া গ্রামের জালাল ঢালীকে ২নং আসামী ও রায়হানের পিতা ওহিদুল শেখকে ৩নং আসামী করে সদর থানায় মামলা নং-৪ দায়ের করে। এদিকে ভিক্টিম উদ্ধার হওয়ার ৫দিন পরে ৭/১২/১৯ তাং স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে উক্ত আসামীরা পরিকল্পিত ভাবে দুপুর ১টার দিকে শিমুলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে প্রধান আসামীর মাতা দেবহাটা উপজেলার চরবালিথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আছিয়া খাতুন ও অপর সহযোগী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ভিক্টিম পরিবারের অর্থযোগান দাতা নাসিমা খাতুনসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগীতায় আবারো অপহরণ করে প্রথমে চর বালিথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়ে যায়। সেখান থেকে প্রধান আসামী সহ অন্যান্য আসামীরা অন্যত্র নিয়ে যায়। পরে ঐ ঘটনায় ভিক্টিমের মা অর্পনা রানী মিস্ত্রী সাতক্ষীরা বিজ্ঞ মানব পাচার অপরাধ ট্রাইবুনালে একটি পিটিশন দাখিল করে। যে পিটিশনে পুর্বের তিন জন আসামী বহালসহ নতুন ভাবে প্রধান আসামীর মা চরবালিথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আছিয়া খাতুন এবং দেবহাটা থানার চর বালিথা গ্রামের রজব আলি সানার পুত্র রেজাউল ইসলাম ওরফে খোকনসহ ৫জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামী করা হয়। যার পিটিশন নং-৩৯/২০২,ধারা-৬/৭/৮ মানব পাচার অপরাধ দমন আইন ২০১২। ্ঐ সময় আদালত বিষয়টি পিবিআই তদন্তে স্থানান্তর করে। সেই সুত্র ধরে সোমবার তদন্তে আসে পিবিআই’র প্রতিনিধি দল। তবে এ ঘটনার আসামীরা এখনও বহাল তবিয়তে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদিকে কন্যাহারা অসহায় ভিক্টিমের পরিবার তাদের একমাত্র মেয়ের সন্ধানে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর এ ঘটনায় ভিক্টিম পরিবারকে সহযোগিতা করছে এমন সন্দেহে চর বালিথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঙ্গল চন্দ্রকে বিদ্যালয় থেকে অপসারন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে অপহারনের সহযোগিদের বিরুদ্ধে। উক্ত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারসহ আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও তার পরিবার।