সাতক্ষীরা টু আশাশুনি সড়কের বেহাল দশা

0
664

মইনুল ইসলাম, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি, খুলনাটাইমস:
সাতক্ষীরার জনগুরুত্ব সড়কগুলোর একটি হল সাতক্ষীরা টু আশাশুনি সড়ক। আশাশুনি উপজেলার ১১ ইউনিয়নের আড়াই লক্ষ্যাধিক মানুষের জেলা সদরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা এটি। এ রাস্তাটির সাথে এলাকার মানুষের জীবন জীবকা ও উন্নয়ন যেমন জড়িত, তেমনি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিও জড়িত। এ উপজেলার একটি বৃহৎ এলাকা জুড়ে রপ্তাণীযোগ্য বাগদা, গলদা চিংড়ী সহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ (রুই, কাতলা, পারশে, ভেটকী ইত্যাদি) উৎপাদিত হয়ে থাকে। প্রতিদিন আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়ক দিয়ে শত শত পরিবহন যোগে উৎপাদিত এ মাছ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পরিবহন ও বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। যে রাস্তাটি ব্যবহার করে সরকার প্রতি বছর মোটা অংকের রাজস্ব আয় সহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, সেই রাস্তাটির প্রতি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বিন্দুমাত্র খেয়াল আছে কিনা সন্দেহ এলাকার মানুষের। সড়কটির বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক। সাতক্ষীরা থেকে আশাশুনি পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার সড়কটির চাপড়া অংশে, মহেশ্বরকাটি বাজার এলাকায়, নওয়াপাড়া এলাকায়, বুধহাটা বাজারের শুরু এবং শেষ অংশে, বুধহাটা সিনেমা হল, কুলতিয়ার মোড়, ভালুকা চাঁদপুর বাজার থেকে জাহানাবাজ পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে, ব্র²রাজপুর বাজার, দহকুলার মোড় থেকে আলীয়া মাদরাসার আগ পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অংশে পিচ পাথর উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ব্র²রাজপুর বাজার এলাকাটির। প্রতিবার রাস্তাটি যখন একেবারে যান চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে তখন দায়সারা গোছের জোড়াতালির কাজ করতে দেখা যায়। কখনো ইটের খোয়া আর বালি দিয়ে রাস্তায় তৈরি হওয়া বড় বড় গর্ত ভরাট করা হয়। আবার কখনো কখনো গর্ত ভরাট করে তার ওপর কুচি পাথর আর পিচের পাতলা প্রলেপ দিয়ে ক্ষতস্থান ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়। এভাবে ক’দিন যেতে না যেতেই রাস্তাটি আবার তার আগের চেহারায় ফিরে যায়। সর্বশেষ কবে রাস্তাটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হয়েছে তা এলাকার মানুষ প্রায় ভূলতে বসেছে। এমতাবস্থায় আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই সড়কটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার পূর্বক এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।