সাতক্ষীরায় গোপন আস্তানায় চিংড়ী মাছে অপদ্রব্য পুশ!

0
293

আশাশুনি প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ীতে গোপন আস্তানায় চিংড়ী মাছে অপদ্রব্য পুশ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। জানাগেছে, ফিংড়ী ইউনিয়নের গাভা গ্রামে গোপন আস্তানায় নারী ও পুরুষ সম্মিলিত ভাবে ময়দা, আটা, জেলিসহ খাওয়ার অনুপযোগী বিশেষ দ্রব্য পানির সাথে মিশিয়ে ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে চিংড়ী মাছে পুশ করা হচ্ছে। মাছে পুশ করা কাজে নিয়োজিত প্রায় ২০ জন শ্রমিককে দিন প্রতি ১৫০ টাকা হারে মজুরী দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। সাতক্ষীরা জেলা সারা দেশের কাছে চিংড়ী উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য বিশেষ ভাবে পরিচিত। সারাদেশ থেকে যে পরিমান চিংড়ি রপ্তানি হয় তার সিংহভাগই উৎপাদন হয় সাতক্ষীরা জেলা থেকে। এর মধ্যে সাদা সোনা নামে খ্যাত বাগদা ও গলদা দেশের বাইরে রপ্তানি হয় এবং হরিণা চিংড়ী দেশের আভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। শুধু মাত্র চিংড়ী রপ্তানি করে সরকার সাতক্ষীরা থেকে বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। বাংলাদেশের এ সাফল্য ও সম্মান মাটিতে মিশিয়ে দিতে এক শ্রেণির দেশদ্রোহীরা সাদা সোনা নামে খ্যাত চিংড়ী মাছে খাওয়ার অনুপযোগী অপদ্রব্য পুশ করে যাচ্ছে। আর এমনই ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের গাভা গ্রামে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের গাভা গ্রামের কার্ত্তিক সরদারের ছেলে প্রভাষ সরদারের জমির উপর একটি বাঁশ বাগানে স্থানীয় মহিলা ও পুরুষদের দিয়ে চিংড়ী মাছে খাওয়ার অনুপযোগী অপদ্রব্য পুশ করা হচ্ছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, শরাপপুর গ্রামের ভব বাছাড়ের ছেলে মালিক স্বপন বাছাড় স্থানীয় কয়েকটি যুবকদের কাজে লাগিয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাজার থেকে চিংড়ী মাছ ক্রয় করে মাছে পুশ করার উদ্দেশ্যে প্রভাষের বাঁশ বাগানে নিয়ে যান। স্বপন বাছাড়কে চিংড়ী মাছে পুশ করার সহযোগীতা করেন, গাভা গ্রামের কার্ত্তিক সরদারের ছেলে প্রভাষ সরদার ও সতিশ দাসের ছেলে নিমাই দাশ। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গোপন আস্তানায় মাছে পুশ করার বিষয়টি স্থানীয়রা জানলেও পুশকারীদের ইন্দোনদাতাদের ভয়ে প্রতিবাদ করার ইচ্ছে থাকলেও কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এমতাবস্থায় অতিদ্রুত এসকল দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।