সাগরে ইলিশের আকালে ক্রমাগত লোকসানে দিশেহারা মৎস্যজীবিরা

0
241

শরণখোলা প্রতিনিধি:
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় প্রবল বর্ষণ ও সাগরে ইলিশের আকালে চারদিন ধরে ফিসিংট্রলার বহর উপকূলের বিভিন্ন স্থানে নোঙ্গর করে আছে। ক্রমাগত লোকসানে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলে মৎস্যজীবিরা। জাতীয় মৎস্যজীবি সমিতির শরণখোলা শাখা সভাপতি আবুল হোসেন জানান, একদিকে দুর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়া অন্যদিকে সাগরে ইলিশ সংকটে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। চারদিন যাবৎ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ফিসিংবোট গুলো উপকূলের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। জেলেরা সাগরে একবার জাল ফেলে ৪/৫ টি করে ইলিশ পায়। ৮/১০ দিন জাল ফেলে একেকটি বোটে ২০/২৫ কেজির বেশী মাছ পায়না। প্রতি জেলে মহাজন এ পর্যন্ত ১০/১৫ লাখ টাকা লোকসান দিয়ে এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। ঋন পরিশোধের চিন্তায় জেলে মহাজনরা দিশেহারা বলে আবুল হোসেন জানান। বরগুনা জেলা ফিসিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, উত্তাল সাগরে মাছ ধরতে না পেরে সাগর ছেড়ে ফিসিংবোটগুলো ঘাটে রয়েছে। সাগরে ইলিশ না পাওয়ায় জেলেরা পরিবার পরিজন নিয়ে অর্থকষ্টে রয়েছেন। ফিসিংবোট মালিকরা ব্যাংক ও এনজিওদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে জাল ও বোট প্রস্তত করে সাগরে মাছ ধরতে পাঠিয়ে ইলিশ পাচ্ছেনা। এনজিওদের ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে অনেক জেলে মহাজন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে তিনি জানান।
দুবলা ফিসারমেন গ্রুপের সভাপতি বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, সাগরে জাল ফেলে ইলিশ না পেয়ে জেলেরা হতাশ। পূর্বে মহিপুর উপকূল থেকে পশ্চিমে রায়মঙ্গল উপকূল পর্যন্ত সাগরে ইলিশ তেমন নেই ৪/৫ টির বেশী ইলিশ পায়না জেলেরা। তিনি ইলিশ মওশুমের এ পর্যন্ত ৬ লক্ষাধিক টাকা লোকসান দিয়েছেন বলে জানান।