সমাজের সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনার জন্য বিতর্কচর্চার ওপর জোর দিতে হবে : জনউদ্যোগ

0
292

খবর বিজ্ঞপ্তি: শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও যুক্তিবাদী মানস গঠনের পাশাপাশি সমাজের সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনার জন্য বিতর্কচর্চার ওপর জোর দিতে হবে। বর্তমানে সমাজে যে অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তার থেকে বেরিয়ে আসার একটা উপায় হতে পারে বিতর্কচর্চা। তাই এই প্রক্রিয়াকে বেগবান করতে পাঠ্যক্রমে বিতর্কচর্চার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে হবে। বাংলাদেশে বিতর্কচর্চার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা, প্রান্তিক পর্যায়ে বিতর্ক ক্লাব ও সংগঠনগুলোর অবস্থা, বিতর্ক প্রতিযোগিতাগুলোর মানোন্নয়ন ও অনুশীলনকে তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে খেলাধুলা কিংবা সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য যদি বিশেষায়িত শিক্ষক থাকতে পারেন, তাহলে বিতর্কের জন্য একজন তত্ত্বাবধায়ক থাকতে হবে। শৈল্পিক এই মাধ্যমটির স্বীকৃতির অভাব আছে। যে কারণে শিক্ষার্থীরা বিতর্কচর্চার বিষয়ে আগ্রহী হয় না। এ জন্য এমন একটা পেশাগত কাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন যাতে করে বিতর্কচর্চার মাধ্যমে স্বীকৃতির পাশাপাশি আর্থিক প্রণোদনাও লাভ করা যায়। এভাবে বললেন জনউদ্যোগ খুলনার বির্তক প্রতিযোগিতায় বক্তারা। বৃহস্পতিবার বিকালে বিএএম’ র মিলনায়তনে জনউদ্যোগ,খুলনার আয়োজনে বির্তক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরনী মভা অনুষ্ঠিত হয়। পুরস্কার বিতরনী সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম। সভা পরিচালনা করেন জনউদ্যোগ,খুলনা নারী সেলের আহবায়ক এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার সোনালী সেন, তথ্য অধিদপ্তরের উপ-প্রধান ম, জাভেদ ইকবাল। অন্যন্যাদের মধ্যে বক্তাব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল নূর মোহাম্মদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক হুমায়ন কবীর ববি, রোজী রহমান ,মাহাবুবুল আলম বুলবুল, খুলনা আর্ট স্কুলের পরিচালক বিধান চন্দ্র রায়, ইসরাত আরা হিরা, কৃষ্ণা দাস, সেলিম বুলবুল , মফিদুল ইসলাম, জনার্দ্ধন নান্টু প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনউদ্যোগ, খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন।
বক্তারা, যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিতার্কিকদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতাগুলোতে তৃণমূল পর্যায়ের বিতার্কিকদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে বলেন, মেধা দেশজুড়ে আছে। এখন কেবল সুযোগ তৈরি করে দেওয়া দরকার। বক্তারা বলেন, এটা একটা বড় সংকট। বিতর্ক করার জন্য পাঠাভ্যাস একটা জরুরি অনুষঙ্গ। কিন্তু কোনো ক্লাবকে নিয়মিত পাঠচক্র করতে দেখা যায় না। তাই স্বভাবতই বিতর্কে বিষয়ের ঘাটতি তৈরি হয়। বিতর্কচর্চাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবে এটাকে আরও সর্বজনীন করে তোলার জন্য সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা হওয়া উচিত।