শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চির বিদায় নিলো কয়রার নিহত ছাত্রলীগ নেতা রাসেল

0
493

ওবায়দুল কবির (সম্রাট):
কয়রায় ছাত্রলীগ নেতার নিজ বাড়িতে সকাল থেকেই আসতে থাকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রিয় মানুষ ও ছাত্রলীগ সম্পাদককে শেষবারের মতো একনজর দেখতে, শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নেমেছিল সর্বস্তরের মানুষের। সোমবার রাত ১০ টায় যখন সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছাত্রলীগ সম্পাদকের মরদেহ নিয়ে আসা হয় কয়রার বাগালী ইউনিয়নের বায়লাহানীয়া তার নিজ বাড়িতে, তখন চারদিক ছিল লোকে-লোকারণ্য। তাদের কারো হাতে ফুল, কারো চোখে জল। সবার চোখে-মুখে বিষাদের ছায়া; সঙ্গে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার ছোঁয়া। শ্রদ্ধা নিবেদনের এ আয়োজনে যেমন রাসেলের অসংখ্য ভক্ত, অনুরাগী; সহপাটি, তেমনি ছিলেন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাও। সর্বস্তরের মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হলেন কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান রাসেল। নিলো চির বিদায়। তার বাড়িতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিহত রাসেলের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বায়লাহানিয়া বে সীন মীম আলিম মাদ্রাসা মাঠে। সেখানে সকাল ১১ টায় তাঁর. প্রথম জানাজায় অংশ নেয় হাজারো মানুষ। এতে অংশ গ্রহণ করেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব আলী সানা, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজা, পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী, কয়রা-পাইকগাছার সার্কেল এএসপি হুমায়ুন কবির, কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম,পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য সচিব রশীদুজ্জামান মোড়ল, সহকারী কমিশনার ভূমি নুরে আলম সিদ্দিকী, কয়রা থানার ওসি মোঃ রবিউল হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাফর রানা, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আঃ রশীদ, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবু, যুবলীগ নেতা হারুন আর রশীদ, শামীম সরকার, উপজেলা আওয়ামী সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম বাহারুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক আফি আজাদ বান্টি, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন জাকি ও মোঃ আবু সাঈদ খান, জেলা ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ইসলাম রবি, শেখ মোঃ শাকিল, রমজান সরদার, এএইচএম কামাল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমদাদুল হক টিটু, মেজবা উদ্দিন মাসুম, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম টিংকু, সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা শেফারসহ কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, উপজেলার ৭ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং এলাকার সর্বস্তরের মুসল্লিবৃন্দ।
জানাজা শেষে তার পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। উলেখ্য কয়রার বায়লাহানীয়া গ্রামে খালের ওপর একটি সেতুর নির্মাণকাজকে কেন্দ্র করে গত ১ মার্চ বিকালে বিরোধ মিমাংসা করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুরুত্বর আহত হন খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাদীউজ্জামান রাসেল। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। নিহত রাসেল কয়রার বাইলাহারানিয়া গ্রামের আবদুস সাত্তার সানার ছেলে।