শ্বাসকষ্ট বাড়ে শীতল বাতাসে

0
664

খুলনাটাইমস লাইফস্টাইল: শীতল বাতাসে লম্বা দম নেওয়া মজা বনে যেতে পারে সাজা। ভোরবেলার তাজা বাতাসে বুক শ্বাস নেওয়ার অনুভুতিটা আসলেই অন্যরকম তৃপ্তি দেয়। ভোরের বাতাসে হাঁটতে বেরোলে কিংবা হালকা ব্যায়াম করতে পারলে তা শরীর, স্বাস্থ্য, মন সবকিছুর জন্যই উপকারী হবে। তবে এই কনকনে শীতে ব্যাপারটা ভাবতেই হয়ত শীত করবে। আর তারপরও যদি বের হন, তবে সমস্যা হয়ে দাড়াবে ওই শীতল বাতাসে শ্বাস নেওয়ার কারণে শ্বাসতন্ত্রে সৃষ্টি হওয়া অস্বস্তি। শীতের সকালের হিম বাতাসে লম্বা দম নিলে নাক ও শ্বাসনালীতে অস্বস্তি হয়, সংবেদনশীলতা দেখা দেয়। কারও ক্ষেত্রে তা মোড় নিতে দম ফুরিয়ে আসার অনুভুতির দিকে, বুকে চাপ অনুভুত হতে পারে। কেনো হয় এমনটা? নিশ্চয়ই প্রশ্ন জেগেছে মনে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানানো সেই কারণগুলো।
কারণ: এই অস্বস্তির মুল কারণ হলো ঠান্ডা ও আদ্রতাহীন বাতাস শ্বাসতন্ত্র ও ফুসফুসে অস্বস্তি তৈরি করে। হিম শীতল বাতাসে যখন শ্বাস নেওয়া হয় তখন শ্বাসনাল সংকুচিত ও শক্ত হয়ে যায়, ফলে শ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। সমস্যা বেশি হলে বুকে চাপ অনুভুত হতে পারে, দম আটকে আসতে পারে। আরেকটি কারণ হলো শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় নেটে নেওয়া বাতাসকে উষ্ণ ও আর্দ্র করার কাজটি করে নাক। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা বাতাসে শ্বাস টানলে নাক পুরোপুরি তাকে উষ্ণ ও আর্দ্র করতে পারেনা এবং ফুসফুস তা গ্রহন করতে চায় না। ফুসফুস একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার বাতাস গ্রহনে অভ্যস্ত, আর বাতাসের তাপমাত্রা সামান্য কমবেশি হলেই ফুসফুসে অস্বস্তি দেখা দেবে, শ্বাসনালীতে ব্যথাও হতে পারে। যাদের ঠান্ডা বাতাসে অসুবিধা হয় তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা তীব্রতা মারাত্বক হতে পারে। অনেকের আবার শীতের ঠান্ডা বাতাসে নাক থেকে রক্তপাতও হয়। এর কারণ হলো ঠান্ডা ও আদ্রতাহীন বাতাসের কারণে নাকের রাস্তা ফেঁটে যায় আর সেখান থেকেই রক্তপাত হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মলম ব্যবহার করতে পারেন।
সমস্যা এড়ানোর উপায়:
– মুখ দিয়ে শ্বাস না নিয়ে নাক নিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হবে। নাক শ্বাস-প্রশ্বাসের বাতাসকে উষ্ণ ও আর্দ্র করবে।
– ঠান্ডা বাতাসে সংবেদনশীলতা থাকলে খোলা আকাশের নিতে শরীরচর্চা থেকে বিরত থাকতে হবে।
– ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় নাকে-মুখে মাফলার মুড়ে রাখতে পারেন। এতে বাতাস নাকে যাওয়া আগে কিছুটা উষ্ণ হবে।
– যাদের হাঁপানি কিংবা অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগ আছে তাদেরকে শীতকালে বিশেষ সাবধান থাকতে হবে।