শেরপুরে বৃদ্ধা করোনায় আক্রান্ত, আশেপাশের বাড়ি লকডাউন

0
356

খুলনাটাইমস: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নীতে এক বৃদ্ধ মহিলা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার এক বাড়ীসহ আশপাশের কয়েক বাড়ী লক ডাউন করেছে প্রশাসন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নালিতাবাড়ী শহর লক ডাউন কার্যকর করতে প্রসাশনের তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দোকান ছাড়া কাঁচা বাজার সহ শহরের প্রায় সব দোকান পাট বন্ধ করা হয়েছে। পুলিশ শহরে টহল বৃদ্ধি সহ মাইকিং প্রচার অব্যাহত রেখেছে। একই সাথে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে নন্নীর কাদির হাজির ছেলে হাফিজুরের বাড়ি লক ডাউন করেছে প্রশাসন এবং করোনায় আক্রান্ত কাদির হাজীর স্ত্রী খোদেজা বেগম করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তাকে শেরপুর সদরে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নন্নী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান রিটন। গত কয়েকদিন পূর্বে ওই মহিলা তার মেয়ের বাড়ী শেরপুরের শ্রীবর্দীতে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকেই সে আক্রান্ত হয়। পরে খবর জানা জানি হলে তাকে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে আহবান জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রিটন বলেন, ওই বাড়ির আশপাশে কেও যাবেন না। হাফিজুরের শাশুড়ি করোনায় আক্রান্ত। হাফিজুর এবং তার স্ত্রী গতকাল সোমবার তাকে দেখে এসেছে। এটা জানার পরেই ইএনও এবং ওসি ফোন করে জানিয়েছেন যাতে ওই বাড়িতে আপাতত তালা লাগানো হয় এবং বাজার সম্পুর্ণ খালি করতে। কোন দোকান যাতে না খোলা হয়। এলাকার সবাই সতর্ক হোন। আর এই টুকু ত্যাগ স্বীকার করুন। ফেসবুক পোষ্টে ও স্বাক্ষাতকারে চেয়ারম্যান বলেন, নন্নীতে কিভাবে করোনা ছড়ার আশঙ্কা করছি সেটার বিস্তারিত : হাফিজুরের শাশুড়ি দুই দিন যাবৎ অসুস্থ (তখন ও করোনা ধরা পড়ে নাই)। হাফিজুর আর তার স্ত্রী তাকে দেখতে গিয়ে ছিলো। অর্থ্যাৎ অবশ্যই ওঁর ঘরে গিয়েছে, কাছে বসেছে, শরীরে স্পর্শ করেছেন। হাফিজুর সেখান থেকে এসে নন্নী হাই স্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলেছে। যে বল ব্যাট ধরেছে, সেটা আরও অন্তত ১৫ জন স্পর্শ করেছে। খেলা শেষে ততক্ষণে খবর এসেছে হাফিজুরের শাশুড়ির করোনা ধরা পড়েছে। ঘটনার ভয়াবহতা বুঝেছেন এইবার ? হাফিজুর নিজের অজান্তে যেই সব মানুষের সাথে মিশেছে এবং খেলাধুলা করেছে তারাও তো আরও বহু মানুষের সাথে মিশেছে। এখন আগামী ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা ছাড়া আরও কোন উপায় আছে কি ? চীনের উহানের এক রোগির কাছ থেকে যদি আজকে সারা পৃথিবী ছড়াতে পারে, এক হাফিজুরের কাছ থেকে সারা নন্নী ছড়ে যাওয়া অসম্ভব কিছু ? আর এখানে হাফিজুরের দোষ দেখি না, কারণ সে তো জানতো না তার শাশুড়ির করোনা হয়েছে। রেজাল্ট তো বের হয়েছে সে নন্নীতে খেলাধুলা করার পরে। যাই হোক, এটাই হচ্ছে বিস্তারিত। আর হাফিজুরের সাথে কথা বলে জানলাম, তার শাশুড়ির প্রাথমিক রিপোর্টে করোনা ধরা পড়েছে। চুড়ান্ত রিপোর্ট আজকে দিবে। সবার কাছে করজোরে অনুরোধ এই চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশের আগ পর্যন্ত একদম ঘরেই থাকুন। প্রশাসনের নির্দেশক্রমে বাজার আপাতত বন্ধই থাকুক। সবাই একসঙ্গে এই যুদ্ধে শরীক না হলে যুদ্ধ জেতা অসম্ভব। নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বসির আহমেদ বাদল জানান, নন্নীতে একজন আক্রান্ত। তার কারণে আশাপাশের কয়েক বাড়ী লক ডাউন করা হয়েছে। এদিকে নালিতাবাড়ী শহরে শহরে লক ডাউন কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।