শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিৎকরণের যৌথ উদ্যোগ

0
303

খবর বিজ্ঞপ্তি:
শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ঝুঁকিসমূহ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং ঝুঁকিসমূহ থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখার প্রয়াসে খুলনায় কাজ করছে ইউনিসেফ, গ্রামীণফোন এবং টেলিনর গ্রুপ। শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনে সচেতন করে তোলাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ১২ লক্ষের অধিক শিশুকে ইন্টারনেট ব্যবহার নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। শিশুদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে ভিডিও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে ইন্টারনেটে হয়রানী, পাসওয়ার্ড এবং অন্যান্য গোপন তথ্য জানতে চাওয়া, অপরিচিতদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা, ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা ও অনলাইনে শিশু নিপীড়কদের বিষয়ে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। এছাড়া এ সংক্রান্ত নানাবিধ প্রয়োজনে চাইল্ড হেল্পলাইন ১০৯৮ নম্বরে কল করেও শিশুরা সাহায্য পেতে পারে।
ইতোমধ্যেই খুলনার ২৫টি বিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সচেতনতা তৈরিতে ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ সম্পর্কে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেন ুশিশুদের জন্যে অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিদ্যালয় ও কমুনিটিগুলোতে শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে জিপির সহযোগিতায় এই প্রকল্পটি ইউনিসেফ-এর জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রকল্পের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষনীয় বিষয়গুলো আমাদেরকে বিভিন্ন নীতিমালার মধ্যে যে ফাঁক রয়েছে তা যাচাই করতে সাহায্য করবে। একই সাথে শিশুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোন কোন সেবা দরকার তা নির্ধারনেও ভুমিকা রাখবে”।
নিরাপদ ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠায় গ্রামীণফোনের হেড অব সাসটেইনেবিলিটি রাসনা হাসান বলেন, ুউন্মুক্ত মাধ্যম হিসেবে ইন্টারনেটে ঝুঁকি থাকবেই। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারে কিছু সচেতনতা ও বিপদের লক্ষণ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকলে সহজেই সেসব ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা যায়। দেশের শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিশুদের জন্যে নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে ইউনিসেফ এবং টেলিনরের সহায়তায় কাজ করে চলেছে গ্রামীণফোন”।
উল্লেখ্য, ব্র্যাকের সঙ্গে শিশুদের জন্যে নিরাপদ ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠায় ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী এবং ২০,০০০ হাজারের অধিক অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করেছে গ্রামীণফোন। এছাড়া গত ২০১৮ সালে ইউনিসেফের সাথে ৪০০,০০০-এর অধিক শিক্ষার্থী এবং ৭০,০০০-এর বেশি শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করেছে গ্রামীণফোন। ২০১৯- ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ শিক্ষার্থী এবং ৬ লক্ষ অভিভাবক ও শিক্ষকদের নিরাপদ ইন্টারনেট সম্পর্কে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি দেশব্যাপি বিভিন্ন স্কুলে অনলাইন নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে ৪০০টি ক্লাব প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে গ্রামীণফোন। পাশাপাশি বছর জুড়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনলাইন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরিতেও কাজ করছে গ্রামীণফোন, টেলিনর এবং ইউনিসেফ।