শত্রুকে ফাঁকি দিয়ে সহযোগীদের যেভাবে বার্তা পাঠাতেন লাদেন

0
175

খুলনাটাইমস বিদেশ : এক সময় এই পৃথিবীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সবচেয়ে মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তির নাম ছিল ওসামা বিন লাদেন। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের মূল পরিকল্পনাকারী লাদেনকে ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে হত্যা করে মার্কিন যৌথ বাহিনী। এদিকে হত্যার ৯ বছর পরও তাঁকে ঘিরে উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য। স¤প্রতি একটি অবাক করা তথ্য উঠে এসেছে তাকে ঘিরে। বলা হচ্ছে, লাদেন নাকি আল-কায়েদার গোষ্ঠীতে তার সহযোগীদের বার্তা পাঠাত পর্ন ভিডিওর মাধ্যমে। একটি ডকুমেন্টরি সিরিজে এই দাবি করা হয়েছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের করা এই তথ্যচিত্রের নাম দেওয়া হয়েছে বিন লাদেনের হার্ড ড্রাইভ। আল-কায়েদার নেতার কাছ থেকে যেসব ডিজিটাল নথি উদ্ধার করা হয়েছিল, তা সবই ওখানে আছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ডকুমেন্টরিটির প্রিমিয়ার হবে। মার্কিন সেনা সদস্যদের মধ্যে যারা লাদেনকে মেরেছিলেন, তাঁরাই দাবি করেছেন, লাদেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল অনেক পর্ন ভিডিও ও ছবি, পত্রিকা। সেগুলো সেই সময়ে দাঁড়িয়ে যথেষ্ট উন্নতমানের ক্যামেরা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুটিং করা হয়েছিল। তারা অবশ্য তদন্তের স্বার্থে সেসব ভিডিও প্রকাশ্যে আনতে অস্বীকার করেছে। লাদেন পর্ন ভিডিওগুলো দেখত না কি অন্য কিছু করতো সেই বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি মার্কিন সেনাবাহিনী। সিএনএন ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা পরিবেশিত এই তথ্যচিত্রে দাবি করা হয়েছে, এই পর্ন ভিডিওগুলোকেই কোড হিসাবে ব্যবহার করত লাদেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ড্রাইভ খুঁজে যা পাওয়া গেছে, তাকে এক কথায় ডিজিটাল ইনফরমেশন বলা চলে। কিন্তু সেই ডিজিটাল ইনফরমেশন ঘেঁটে আন্দাজ করা যায়, লাদেন এই ভিডিওগুলোর মাধ্যমে তার দলের লোকেদের কাছে তথ্যাদি পাঠাত। এটাই ছিল কোড ল্যাঙ্গুয়েজ। তথ্যচিত্রে আরো দাবি করা হয়েছে, ইমেলের মাধ্যমে কখনই বার্তা পাঠাতে পছন্দ করত না ওসামা বিন লাদেন। বরং তার বদলে তিনি ব্যবহার করেন কুরিয়ার। কারণ ইমেলের মাধ্যমে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় পেতেন লাদেন।