শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করলো বাংলাদেশ

0
449

অনলাইন ডেস্ক:

শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করলো বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। ফলে পৃথিবী থেকে মনে হয় চাঁদ ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে। এ জন্যই এই চাঁদকে ডাকা হয় ‘ব্লাড মুন’।

শুক্রবার (২৭ জুলাই) দিনগত রাত ১১টা ১৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডের পর থেকে চমকপ্রদ এই মহাজাগতিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব। ঢাকার আকাশে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয় রাত ১১টা ১৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ হয়েছে রাত ২টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে আর গ্রহণ শেষ হয়েছে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে।

এই গ্রহণ দেখার জন্য নানা আয়োজন করা হয়েছিল ঢাকাসহ সারা বিশ্বের প্রধান প্রধান সব জায়গায়। ঢাকায়ও বিজ্ঞান যাদুঘরের পক্ষ থেকে দেখা হয় ‘ব্লাড মুন’। এছাড়াও অনুসন্ধিৎসু বিজ্ঞান চক্রের পক্ষ থেকেও চন্দ্রগ্রহণ দেখানোর ব্যবস্থা ছিল।

এবারের চন্দ্রগ্রহণের সময় কক্ষপথে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব সব থেকে বেশি ছিল। ফলে পৃথিবীর ছায়াটিও দীর্ঘপথ জুড়ে বিদ্যমান ছিল।

গ্রহণ চলাকালীন চাঁদকে অনেকটা তামাটে বা লালচে চাকতির মতো মনে হয়েছিল। এর কারণ হল সূর্যের কিছু আলো পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের মধ্য দিয়ে বিচ্ছুরিত হয়ে চাঁদের ওপর পড়ে। লাল রঙ তুলনামূলকভাবে কম বিচ্ছুরিত হয় বলে সেটা চাঁদের উপর পড়ে, এই কারণে গ্রহণের চাঁদকে লাল দেখিয়েছিল।

এবারের চন্দ্রগ্রহণ সবচেয়ে ভালোভাবে দেখার সুযোগ পেয়েছিল আফ্রিকার দক্ষিনাংশ, অষ্ট্রেলিয়া ও মাদাগাস্কারের মানুষজন। যদিও এটা ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিন আমেরিকার দেশগুলো থেকেও দেখা ‍গিয়েছে।

তবে ভারত, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বেশ কয়েকটি প্রান্তের মানুষজন খারাপ আবহাওয়ার জন্য পুরো চন্দ্রগ্রহণটি সার্বিকভাবে দেখার সুযোগ পায়নি।