লকডাউনে শ্রমজীবীদের খাদ্য, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও বকেয়া পরিশোধের দাবি-বাম গণতান্ত্রিক জোটের

0
163

খবর বিজ্ঞপ্তি:
সরকার কর্তৃক করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ, সরকার ঘোষিত দ্বিতীয় দফায় লকডাউন চলাকালীন শ্রমজীবী মানুষদের খাদ্য দ্রব্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদান, টিসিবির সদ্য ঘোষিত দ্রব্যের দাম প্রত্যাহার, রমজানে চাল-ডাল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের বদলী, দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকদের বকেয়া সঠিক হিসাব অনুযায়ী এককালীন পরিশোধ এবং নামের ভুল দ্রæত সংশোধনপূর্বক কয়েক হাজার স্থায়ী পাটকল শ্রমিকের বকেয়া পরিশোধের দাবী জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট খুলনা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় সিপিবি খুলনা জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোট খুলনা জেলা কমিটি সভায় নেতৃবৃন্দ এ দাবী জানান। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেনÑবাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি ডাঃ মনোজ দাশ, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এ রশীদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. এম এম রুহুল আমীন,বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ খুলনা জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নান্টু, বাসদ খুলনা জেলা সদস্য আব্দুল করিম, কোহিনুর আক্তার কণা, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক খান, সাধারণ সম্পাদক গাজী নওশের আলী, সিপিবি খুলনা মহানগর সভাপতি এইচ এম শাহাদাৎ, সাধারণ সম্পাদক এ্যড. বাবুল হাওলাদার, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সদস্য সচিব মারুফ গাজী প্রমুখ। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের অবহেলার কারণে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশের সাধারণ মানুষকে সচেতন করা এবং সতর্কতামূলক কোন ব্যবস্থা সরকার নেয়নি। গত বছরের করোনার ভয়াবহতম পরিস্থিতি থেকে সরকার সামান্যতম শিক্ষা গ্রহণ করেনি। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, রমজান মাস এলেই নিত্যপণ্যসামগ্রীর দাম বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সরকার কঠোরভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হচ্ছে। সিন্ডিকেট বা মধ্যস্বত্বভোগীসহ সরকার ও সরকারের বাইরে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীরাই পণ্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি করে। এভাবে জনগণকে জিম্মি করে তাদের পকেট কাটা হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উর্ধ্বগতির এই দুঃসময়ে টিসিবির পণ্যের দাম বৃদ্ধি, পরিমাণ কমিয়ে দেয়া ও বিক্রয় কেন্দ্র অর্ধেক নামিয়ে আনা মরার ওপর খাড়ার ঘায়েরমত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষ একদিকে রমজানে প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করতে হিমসিম খাবে অন্যদিকে লকডাউন কার্যকর করলে তাদের আয়ের পথ বন্ধ হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ২৫টি পাটকল বন্ধ করে ৫০ হাজার শ্রমিককে কর্মহীন করা হয়েছে। তাদের জীবন-জীবিকা এখন গভীর সংকটে আবর্তিত। উপরন্তু তাদের উৎসব বোনাস ও ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়নি। বদলী ও দৈনিকভিত্তিক পাটকল শ্রমিকদের সকল প্রকার বকেয়া আজও পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি। শ্রমজীবীদের উদ্ভ‚ত পরিস্থিতির এ দায় সরকার কোনভাবে এড়াতে পারে না। নেতৃবৃন্দ সকল জনগণকে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা ও টিকা নিশ্চিত, লকডাউনে শ্রমজীবী হতদরিদ্রদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল, টিসিবির পণ্য বাহক ১০টি ট্রাকের স্থলে ৪০টি ট্রাকের বরাদ্দ ও পরিমাণ বৃদ্ধি, খোলা কারখানা শ্রমিকদের ঝুঁকিভাতা প্রদান, রমজানের আগে পাটকল শ্রমিকদের সকল প্রকার বকেয়া পরিশোধের জোর দাবি জানান।