রূপসায় জুয়াড়ি মান্নানের নের্তৃত্বে চলছে  জুয়া ও মাদকের আসর, প্রতিকার নেই

0
467
রূপসায় জুয়াড়ি মান্নানের নের্তৃত্বে দিন রাত চলছে মাদক ও জুয়ার আসর। মামলার ভয়ে এলাবাকাসি কিছু বলতে চাই না। প্রতিদিন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়িরা আসে। তাদেরকে দেওয়া হয় নির্ভয়ের আশ্বাস।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশাজীবিদের মধ্যে জুয়া আসক্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। দিন রাত প্রতিনিয়ত জুয়া খেলার রমমরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে জুয়াড়ি মান্নান। এতে করে বিরূপ প্রভাব পড়ছে সমাজে। নষ্টের পথে পা বাড়াচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষসহ তরুন প্রজন্ম। বাগেরহাট, ফকিরহাট,মোড়লগঞ্জ, শরণখোলা, মোল্লাহাট, চিতলমারী, গোপালগঞ্জ, তেরখাদা ও খুলনা সদর থেকে নাম করা জুয়াড়িরা খেলতে আসে।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্য বা আড়ালে জুয়া ও মাদকে লক্ষ লক্ষ টাকা লেন-দেন হচ্ছে। জেনে শুনে কেউ প্রতিরোধের জন্য এগিয়ে আসছে না। সুশীল সমাজের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষক কর্মকর্তারা।  প্রকাশ্য দিনের বেলায় চলছে মাদক ও মান্নানের জুয়ার আসর। উপজেলার পূর্ব রূপসা বাস স্টার্ন্ড, ঘাটভোগ জমিদার বাড়ি নামক স্থানে, ঘাটভোগ থেকে শিয়ালী পর্যন্ত যেতে চোখে পড়ে অসংখ্য ব্যক্তি পাটি বিছিয়ে তাসের মাধ্যমে জুয়া খেলছে। এছাড়া বিভিন্ন দোকানের বারান্দা, আর সন্ধ্যা হতে গভীর রাত পর্যন্ত চলে নামী-দামী ব্যক্তিদের তাসের জুয়া। এসব ছাড়া বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্লাব ঘর এবং কিছু ব্যক্তি মালিকানাধীন বাসায়। তবে বড় জুয়ার আড্ডা বসে ঘাটভোগ এলাকায়। কয়েকবার ফকিরহাট থানা পুলিশ জুয়ার আসর থেকে মোটরসাইকেল ও কয়েকজনকে আটক করে। কিছু দিন বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে এ আসর। তার মধ্যে পূর্ব রূপসা বাস স্টান্ডে জুয়ার বোর্ডটিতে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করে। যে কারনে বন্ধ বন্ধ রয়েছে।
এ জুয়া নেশা কবল থেকে মুক্তি নেই সকল শ্রেনী পেশাজীবিদের। এখানে আসতে দেখা যায় গাড়ী চালক, দৈনিক শ্রমিক, রিক্সা চালক, ছাত্র, সরকারী-বেসরকারী চাকরীজিবী, ব্যবসায়ী ও নিবার্চিত এবং প্রথাগত জনপ্রতিনিধিরা। জুয়া খেলা সমাজের অনেক বিপদের ঘটনা প্রতিমুহুর্তে গ্রাস করছে। বিষপান, আত্ম-হত্যা, হার্ট ষ্টোক, মারামারি, সংসার বিচ্ছেদ, জায়গা জমি বিক্রি এবং জুয়া খেলার জের ধরে মামলা মোকাদ্দমা পর্যন্ত গড়ে উঠেছে। তবুও প্রতিকার বা প্রতিরোধের কেউ এগিয়ে আসছে না।  বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলছে। আইন আছে প্রশাসন আছে, আছে বিভিন্ন বাহিনী এবং নানা ধাপে জন প্রতিনিধিরা। তবুও প্রতিদিন বাড়ছে জুয়ার আসক্ত সংখ্যা।  নষ্ট হচ্ছে আগামীদিনের নতুন প্রজন্ম সন্তানেরা।
এসব এলাকার বিষয়ে নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসন পক্ষ থেকে বক্তব্য হচ্ছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিরা এগিয়ে না আসলে কোনভাবে প্রতিরোধ করার সম্ভব হবেনা। আর স্থানীয় বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা বলছে, আইনের শাসন ছাড়া প্রতিরোধ করা সম্ভব হবেনা। স্থানীয় এলাকাবাসি জেলা পর্যায়ে উর্দ্ধতন প্রশাসনের কর্তৃপক্ষের নিকট এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানিয়েছেন। প্রতিনিধি