রামপালে রাতারাতি দাম বেড়েছে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের দাম

0
210

সুব্র ঢালী, রামপাল: ধুলাবালির সঙ্গে করোনাভাইরাস আতঙ্কে বেড়ে গেছে মাস্কের ব্যবহার। রামপালে দেদারসে কেনাবেচা বেড়েছে মুখ ঢাকার মাস্ক ও স্যানিটাইজারের দাম। তবে উপজেলার বেশীরভাগ মেডিকেল স্টোরগুলোতে এসব মাস্ক ও স্যানিটাইজারের সংকট দেখা দিয়েছে। যেগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে তবে চাহিদার সঙ্গে বেড়ছে দাম, বেশী দামে কিনতে হচ্ছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ রয়েছে। অসাধূ ব্যাবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার পরিস্থিতিকে অস্থীতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে রামপালের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখাগেছে, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে অনেকেই মুখে এসব মাস্ক পরে চলাফেরা করছেন। তাই স্বাভাবিকভাবে মেডিকেল স্টোরগুলোতে কেনাবেচা বেড়েছে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের। পরে দাম বেড়ে যেতে পারে তাই অনেকে ব্যাবহার না করলেও কিনে রেখে দিচ্ছেন। তবে গত ৩/৪ দিন আগে প্রায় সব দোকানেই মাস্ক পাওয়া গেলেও এখন বেশীরভাগ দোকানেই মাস্ক মিলছে না। কারন হিসাবে তারা বলছেন তাদের মজুত নেই,আর বাইরে থেকে কেনা লাগছে বেশী দামে। কোনো কোনো দোকানে ১৫ টাকার মাস্ক ৩০/৩৫ টাকায় বিক্রয় করা হচ্ছে। তবে ব্যাবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাবসায়ী জানান, পাইকারী ব্যাবসায়ীরা এসব মজুত করে দাম বাড়িয়েছে। খুচরা ব্যাবসায়ীরা বেশী দামে কিনে আনছে তাই বেশী দামে বিক্রয় করা লাগছে।
রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতা ডা. সুকান্ত কুমার পাল জানান, সুস্থ মানুষের জন্য মাস্ক ব্যাবহার গুরুত্বপূর্ন নয়। অসুস্থ রোগীদের জন্য মাস্ক ব্যাবহার জরুরী। উপজেলায় করোনা রোগীদের জন্য আমাদের মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল জানান,কেউ এককভাবে যাতে বাজার নিয়ন্ত্রন করতে না পারে তার জন্য আমরা বাজার মনিটরিং এ রেখেছি। এ ব্যপারে সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকেও নির্দেশনা দিয়েছি। কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।