যেদিন ছাপবে না কোন পত্রিকা !

0
736

অনলাইন ডেস্ক : সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাথরুম। সেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে বসে ডাইনিং টেবিলে। উদ্দেশ্য সকালের নাস্তা নয়। বরং এক কাপ চা। আর চা নিয়েই খোঁজা আজকের পত্রিকা। পত্রিকা নেই। কেন? এত বেলা হলো এখনো পত্রিকা দেয় নি কেন? আজ পত্রিকা বন্ধ! দিনের শুরুতেই ছন্দপতন। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেককেই হয়তো আমার মতোই এমন সকালটা কাটাতে হলো। সকালের উঠে দাঁত মাঁজা, শেভ, গোসল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের যেমন অবিচ্ছেদ্য অংশ, তেমনি জীবনের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে দৈনিক পত্রিকায় চোখ বুলানো। সকালে এক কাপ চায়ের সঙ্গে পত্রিকা যেন মধ্যবিত্তের বিলাসিতা। সকালের চা টা জমেই না পত্রিকা ছাড়া। পত্রিকা হাতে না পেলে মধ্যবিত্ত বাঙালির সকালটা যেন পূর্ণতা পায় না। কিন্তু বাংলাদেশে মাঝেমধ্যেই অপূর্ণতা নিয়ে সকালটা শুরু করতে হয়। কারণ, সকালে পত্রিকা অনুপস্থিত। সারাবিশ্বে ক্রিসমাসের ছুটি ছাড়া কখনোই পত্রিকা বন্ধ হয় না। কিন্তু বাংলাদেশে বছরের অনেক দিনই ছোটোখাটো উৎসবে বন্ধ হয়ে যায় দৈনিক পত্রিকা। অবশ্য ইদানীং পত্রিকায় আগের দিন দেওয়া ঘোষণায় থাকে বিশেষ ব্যবস্থায় অনলাইন চালু থাকবে। কিন্তু ছাপা পত্রিকায় যিনি অভ্যস্ত তিনি তো অনলাইনে খবর পড়তে চান না। বুক রিডারে বই পড়ে কী ছাপা বইয়ের স্বাদ পাওয়া যায়। কিছুদিন আগেও পরিপ্রেক্ষিতের এক সমীক্ষাভিত্তিক গবেষণায় দেখা যায়, অনলাইনের জয়জয়কারের এই যুগেও, বাংলাদেশে মুদ্রণ সংবাদপত্র আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। তবে ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মাধ্যমের জনপ্রিয়তার সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে ছাপা পত্রিকাকে। এমন সময়ে হঠাৎ হঠাৎ পত্রিকা বন্ধ থাকা এই শিল্পের জন্যই কি আশঙ্কার নয়? বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকার নানা সংগঠন আছে, যারা নির্ধারণ করে পত্রিকা সংশ্লিষ্ট সবকিছু। এসব নীতি নির্ধারণী সংগঠনগুলোকে এখন ভাবতে হবে, চ্যালেঞ্জিং এই সময়ে ছাপা সংবাদ পত্রে ছুটি বা বন্ধ কমিয়ে ফেলবেন কিনা। পত্রিকা শিল্পের এমন ক্রান্তিকালে নিজেদের স্বার্থের তাদের পরিবর্তন আনতে হবে। পরিবর্তিত বিশ্ব-ব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতেই পরিবর্তন আনতে হবে বাংলাদেশের ছাপা সংবাদমাধ্যমেরও।