যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান চুক্তি, বন্দিদের মুক্তিতে অস্বীকৃতি আফগান প্রেসিডেন্টের

0
233

খুলনাটাইমস বিদেশ: আফগানিস্তানের তালেবান বন্দিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান শান্তি চুক্তির আওতায় থাকা এ বিষয়টি পুরোপুরিভাবে প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। দৃশ্যত তার এ ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘকালব্যাপী এ যুদ্ধের অবসানে নতুন প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলো। আফগান যুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে সরিয়ে নিতে গত শনিবার তালেবানের সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত শান্তি চুক্তিতে উপনীত হয় ট্রাম্প প্রশাসন। কাতারের রাজধানী দোহায় উভয় পক্ষের মধ্যে এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর একদিনের মাথায় গত রোববার ওই চুক্তি অনুযায়ী তালেবান বন্দিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানান আফগানিস্তানের মার্কিন সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। আশরাফ ঘানি সরকারকে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রক্সি হিসেবে বিবেচনা করে তালেবান। এজন্য বরাবরই তার সরকারের সঙ্গে বৈঠকে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে দলটি। তালেবানের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া কিছু বলতে বা করতে পারে না আফগান সরকার। ফলে তাদের সঙ্গে বৈঠক অর্থহীন। অন্যদিকে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে আশরাফ ঘানি সরকারের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসতে তালেবানের প্রতি দফায় দফায় আহ্বান জানানো হয়। যদিও এমন আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে দলটি। ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয়, আফগান সরকার পাঁচ হাজার তালেবান বন্দিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে সরকারের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসবে তালেবান। দোহায় চুক্তি স্বাক্ষরের পরদিন কাবুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে কথা বলেন আফগান প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আফগানিস্তান সরকার পাঁচ হাজার তালেবান বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি। দীর্ঘ ১৮ বছরের যুদ্ধের অবসানে এ চুক্তি স্বাক্ষরের পর এটিকে স্বাগত জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্বনেতারা। ট্রাম্প বলেছেন, তালেবান ও আফগান সরকার যদি এসব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে তাহলে আমরা দেশটিতে যুদ্ধ শেষ করা এবং সেনাদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার বড় একটি সুযোগ পাবো। এমন পরিস্থিতিতে বন্দি বিনিময়ের ব্যাপারে আফগান প্রেসিডেন্টের নতুন বক্তব্য চুক্তি বাস্তবায়নে কিছুটা হলেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স।