যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে ১০৪৯ জনের মৃত্যু, বিশ্বজুড়ে ৪৭ হাজার ছাড়ালো

0
225

খুলনাটাইমস বিদেশ : মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃতের মিছিল বাড়ছেই। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে ১ হাজার ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ হাজার ১০২ জনে। আর বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ২৪৫ জন। সফটওয়্যার সল্যুশন কোম্পানি ‘ডারাক্সে’র পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ওয়ার্ল্ডোমিটারে’ প্রকাশিত তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৯ লাখ ৩৫ হাজার ৯৫৭ জন। এর মধ্যে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ২ লাখ ১৫ হাজার ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৮৬ জন। মহামারীর বিপজ্জনক এইরূপ দেখে নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলার নীতিমালায় পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস। বুধবার জেনিভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এটা এখনো আমাদের কাছে নতুন একটি ভাইরাস এবং আমরা শিখছি প্রতিনিয়ত। যেহেতু অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে, নতুন তথ্য আসছে, তাতে আমাদের পরামর্শও পরামর্শও বদলাবে।’ এদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইতোমধ্যে বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের চলতি প্রাদুর্ভাব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হয়ে এসেছে। তিন মাস আগে চীনের উহানে প্রথম সংক্রমণ ঘটার পর ইউরোপকে বিপর্যস্ত করে এখন যুক্তরাষ্ট্র হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস মহামারির নতুন কেন্দ্র। গত ১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে হাতেগোনা কয়েকজন হলেও এক মাসের ব্যবধানে এই সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই লাখ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে এক থেকে আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন গবেষকরা। এই পরিস্থিতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, সামনে খুব কষ্টের সময় আসছে। এদিকে, ইউরোপের সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ ইতালি ও স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির হার কমলেও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইতালি ও স্পেন দুই দেশেই আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৪ জন, আর স্পেনে ১ লাখ ৪ হাজার ১১৮ জন। এরপরের অবস্থানে রয়েছে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন। দেশটিতে ৮১ হাজার ৫৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩ হাজার ৩১২ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭৬ হাজার ২৩৮ জন।