মোরেলগঞ্জে অঅগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন এমপি মিলন’র

0
130

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ড পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে আগুনে ৫টি সম্পূর্ণ এবং আরো ৫টি আংশিক মোট ১০টি দোকান পুড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি । বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ডে বুধবার সকাল ৭টার দিকে জনতা ব্যাংক মোরেলগঞ্জ শাখার বিপরীতে কয়েকটি ফলের দোকান থেকে কালো ধোঁয়া ও আগুন দেখতে পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এসে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফলে অন্য দোকানগুলো আগুনে পোঙা হতে রক্ষা পায়।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ১০/১২ মিনিটের মধ্যে নির্বাপন করতে সক্ষম হই। কিন্তু এ সময়ের আগেই আগুন দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পরে। ফলে সেখানকার পান্না চাপরাশির মুদি দোকান, জুয়েলের কসমেটিকসের দোকান, মতিন আকনের চায়ের দোকান, আবুবকর সিদ্দিকের মুদি ও মাছের খাবারের দোকান, মোস্তফা শেখের ফলের দোকান, মহরত তালুকদারের ফলের দোকান, দুলাল চন্দ্র শীলের সেলুনের দোকান, জাকির হোসেন মিলনের কসমেটিকস ও মুদি দোকান আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এরা সবাই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পান্না চাপরাশির মুদি দোকান, আবু বকর সিদ্দিকের মুদি ও মাছের খাবারের দোকান, জাকির হোসেন মিলনের কসমেটিকসের দোকান ও মোস্তফার ফলের দোকান। এ দোকানগুলো প্রায় সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

এদিকে, করোনা মহামারীর এ পরিস্থিতিতে শেষ সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে অঝোরে কেঁদে চলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা। আগুন লাগার খবর বাগেরহাট-৪-আসনের সাংসদ এডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এবং পৌর মেয়র এস, এম, মনিরুল হক তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর নান্না সেখকে আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের সঠিক তালিকা প্রনয়ন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন।

খুলনা টাইমস/এমআইআর