মোবাইল ফোনের জগতে হালিমা গ্রুপ-এর যাত্রা শুরু

0
253

ঢাকা অফিস:
সম্প্রতি হালিমা গ্রুপ-এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘হালিমা মোবাইল’ প্রথমবারে মত মোবাইল ফোনের যাত্রা শুরু করেছে। মোবাইল ফোনের যাত্রা উপলক্ষ্যে কুমিল্লায় এক জাকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গত বুধবার (৩ ফেব্রæয়ারি) সন্ধ্যায় কুমিল্লার স্টেশন ক্লাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হালিমা গ্রæপের চেয়ারম্যান আবুল কালাম হাসান টগরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, আইসিটি বিভাগের বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এনডিসি, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এবং কুমিল্লা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আরফানুল হক রিফাত। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুমিল্লার বিভিন্ন মহলের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। হালিমা মোবাইল সমকালীন প্রযুক্তির টি-১ ও এইচ-১ দুটি মডেলের মোবাইল ফোন বাজারে এনেছে। উভয় মডেলে রয়েছে শক্তিশালী ব্যাটারীসহ স্ট্যান্ডবাই ঘন্টা এবং মাল্টিমিডিয়া সমর্থনসহ আকর্ষনীয় নকশা। এছাড়াও রয়েছে ফেসবুক ব্রাউজার, ৩২জিবি পর্যন্ত ফোন মেমরি, ডিজিটাল ক্যামেরা, ইউএসবি ম্যাস স্টোরেজ, ওয়্যারলেস এফএম/ এমপি ৩/এমপি ৪, কোয়ার্ড টর্চ এবং মাল্টি ল্যাংগুয়েজ।
উল্লেখ্য যে, হালিমা গ্রæপ ২০১০ সালে তাদের কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০২১ সালে বর্তমানে এই গ্রæপের ৮টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে হালিমা টেলিকম, হালিমা ইলেকট্রনিক্স, হালিমা ট্রেডার্স, হালিমা ওয়ার্ল্ড, এইচ টি ই, নিউক্লিসি গেøাবাল, টিপ এক্সেসরিজ ও সর্বশেষ যুক্ত হলো হালিমা মোবাইল।
২০১০ সালে হালিমা গ্রæপের চেয়ারম্যান আবুল কালাম হাসান টগর তার মায়ের নামে হালিমা টেলিকম-এর যাত্রা শুরু করেন। তিনি বিদেশ থেকে পন্য আমদানি করে মাত্র তিনজন কর্মী নিয়ে বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল এক্সেসরিজ ইন্ড্রাষ্টির যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত আছে এক হাজারের উপর কর্মী, যার অধিকাংশই স্বল্প শিক্ষিত নারী। শুরু থেকেই নারী ক্ষমতায়নে হালিমা গ্রæপ বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। যে নারীরা এক সময়ে সমাজে নিগৃহীত, নির্যাতিত ও অবহেলিত ছিলেন, এইসব স্বল্প শিক্ষিত নারীরাই আজ দক্ষ কর্মীতে পরিণত হয়েছে। শুধু অর্থনৈতিক উন্নতিই নয় বরং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই প্রতিষ্ঠানটি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতসবাজির আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সংগীত পরিবেশন করেন দেশ-বিদেশের বরেণ্য শিল্পীরা।