ভ্যালেন্সিয়ার সাথে ২-২ গোলে ড্র করে নক আউট পর্বের অপেক্ষা বাড়লো চেলসির

0
267

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : ড্যানিয়েল ওয়াসাসের গোলে চেলসির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দারুন এক লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ভ্যালেন্সিয়া। আর এই ড্রয়ে উভয় দলেরই নক আউট পর্বে যাবার অপেক্ষা আরো বাড়লো।
গ্রুপ-এইচ’র প্রথম ম্যাচেই ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে পয়েন্ট হারিয়েছিল চেলসি। গতকালও প্রথম থেকে সেই শঙ্কাই দেখা দিয়েছিল। কার্লোস সোলারের গোলে ৪০ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিক ভ্যালেন্সিয়া। যদিও পরের মিনিটেই সমতা ফেরান মাতেও কোভাচিচ। বিরতির পর ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্লুজরা। ৬৪ মিনিটে ডানি পারেহোর পেনাল্টি চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা রুখে না দিলে ম্যাচের ফলাফল হয়ত ভিন্ন হতে পারতো। ৮২ মিনিটে আর কোন ভুল করেননি ওয়াস।
এই ড্রয়ে উভয় দলই ৮ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করে গ্রুপ এইচ’র দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। লিলিকে ২-০ গোলে পরাজিত করে দুই পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষস্থানটি ধরে রেখেছে আয়াক্স।
দুই সপ্তাহ পরে ঘরের মাঠে লিলির বিপক্ষে জয় ফ্র্যাংক ল্যাম্পার্ডের দলকে শেষ ১৬’তে উন্নীত করবে। কালকের ম্যাচে অবশ্য স্বাগতিকদের পাঁচটি গোলের সুযোগ নষ্ট হওয়ায় তা চেলসির সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। তবে বিরতির আগে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা টামি আব্রাহামের ইনজুরি কিছুটা হলেও দু:শ্চিন্তায় ফেলেছে ল্যাম্পার্ডকে। ম্যাচ শেষে ব্লুজ কোচ ল্যাম্পার্ড বলেছেন, ‘আমরা ম্যাচটি প্রায় জিতেই গিয়েছিলাম। আবার হারারও সম্ভাবনা ছিল। সব মিলিয়ে এক পয়েন্ট পাওয়ায় আমি খুশী। তারা আজ আমাদের বক্সে অনেক বেশীবার এসেছে। এজন্য রক্ষনভাগকে কৃতিত্ব দিতেই হয়, যেকোন ভাবেই হোক তাদের প্রচেষ্টাগুলো নষ্ট করে দেয়া হয়েছে।’
ভ্যালেন্সিয়ার উরুগুয়ের স্ট্রাইকার ম্যাক্সি গোমেজকে এক্ষেত্রে খলনায়ক বলা যেতেই পারে। প্রথমার্ধে তিনি যে দুটো গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন তা ছিল ক্ষমার অযোগ্য।
ভ্যালেন্সিয়ার কোচ এ্যালবার্ট সেলাডেস বলেছেন, ‘এটা এমন একটি ম্যাচ ছিল যেখানে আমাদের দুই দলেরই সুযোগ ছিল। তবে পেনাল্টিসহ সুযোগগুলো আমরাই বেশী নষ্ট করেছি।’
৪০ মিনিটে রোলার যখন ডেডলক ভাঙ্গেন সেই গোলেও ভ্যালেন্সিয়ার সৌভাগ্যই বেশি কাজে এেেসেছ। সোলারের পা থেকে বল প্রায় চলেই গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কেপাকে পরাস্ত করতে যথেষ্ঠ ছিল। পরাজিত হলে ল্যাম্পাার্ডের দলের বিদায় প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু তারা পিছিয়ে থেকে সাথে সাথেই ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টায় সফল হয়। লো স্ট্রাইকে কোভাচিচ ক্লাবের হয়ে প্রথম গোলে চেলসিকে পরের মিনিটেই সমতায় ফিরিয়েছেন। কোমরের ইনজুরিতে পড়ে এর পরপরই আব্রাহাম মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
যদিও দলের অন্যতম নির্ভরযোগ স্ট্রাইকারকে হারিয়ে বিরতির পাঁচ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় চেলসি। কার্ট জুমার সহযোগিতায় ব্লুজদের এগিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের তারকা পুলিসিচ। ভিএআর প্রযুক্তি দিয়ে দীর্ঘ সময় অফ-সাইডের বিষয়টি পরীক্ষার পর শেষ পর্যন্ত চেলসিকে গোল উপহার দেয়া হয়। রডরিগোর চিপ খালি পোস্টে যেতে ব্যর্থ হওয়ায় ভ্যালেন্সিয়ার ম্যাচে ফেরা হয়নি। পারেহোর পেনাল্টি দুর্দান্তভাবে আটকে দিয়ে ম্যাচ শেষের ২৫ মিনিট আগে আবারো স্বাগতিক সমর্থকদের হতাশ করেন কেপা। কিন্তু ম্যাচের নাটকীয়তা তখনো বাকি। ওয়াসাসের ওভারহিট ক্রসে ম্যাচ শেষের আট মিনিট আগে ভ্যালেন্সিয়া সমতা ফেরালে চেলসির জয় পাওয়া হয়নি।