ভারতের বৃহত্তম কফি চেইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতার মরদেহ উদ্ধার

0
356

খুলনাটাইমস আর্ন্তজাতিক: নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে ভারতের বৃহত্তম কফি চেইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ভি জি সিদ্ধার্থের মরদেহ। গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে নেত্রাবতী নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি ওয়েনলক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন সিদ্ধার্থ। একপর্যায়ে জানা যায়, এদিন নেত্রাবতী নদীতে এক ব্যক্তিকে ঝাঁপ দিতে দেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার এ তথ্য সামনে আসতেই ঘটনাস্থল এলাকায় তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়। অভিযানে যুক্ত হয় এনডিআরএফ, উপকূলরক্ষী বাহিনী।
ভি জি সিদ্ধার্থ কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ-এর জামাতা। পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের চিকমাগালুরু এলাকায় ব্যবসায়িক ভ্রমণে গিয়েছিলেন বছর ৫৫ বছরের সিদ্ধার্থ। শেষবার তাকে নেত্রবতী নদীর ওপর উল্লাল সেতুর কাছে দেখা গিয়েছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই জানিয়েছে, সিদ্ধার্থ তার ড্রাইভারকে নেত্রবতী নদীর ব্রিজের কাছে নিয়ে যেতে বলেন এবং বলেন তিনি একটু ঘুরে আসছেন। সিদ্ধার্থ ড্রাইভারকে তার ফেরা অবধি অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। দুই ঘণ্টা পরও তিনি ফিরে না এলে চালক পুলিশের কাছে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। নিখোঁজ রহস্যের তদন্তের সূত্রে তদন্তকারীদের হাতে আসে একটি চিঠি। ২৭ জুলাই ক্যাফে কফি ডে-র বোর্ড অব ডিরেক্টরস এবং ক্যাফে কফি ডে পরিবারকে উদ্দেশ করে সিদ্ধার্থের একটি চিঠিতে লেখা, ‘সঠিকভাবে একটি লাভজনক ব্যবসায় উন্নীত করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছি।
যারা আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন তাদের হতাশ হতে দেখে আমি খুবই দুঃখিত। আমি দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছি, তবে এবার হাল ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ, ব্যক্তিগত অংশীদারিত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার যে চাপ আসছিল তা আমি নিতে পারছি না। ছয় মাস আগে এক বন্ধুর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ধার নিয়ে সেই লেনদেন মেটানোর চেষ্টা করি। কিন্তু অন্য ঋণদাতাদের তীব্র চাপ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে।’
উল্লেখ্য, ভারতজুড়ে সিদ্ধার্থের চেইন কফি শপ ‘ক্যাফে কফি ডে’-র এক হাজার ৭৫০টি শাখা রয়েছে। দেশের বাইরে মালয়েশিয়া, নেপাল ও মিসরের মতো দেশগুলোতেও শাখা রয়েছে ক্যাফে কফি ডে-র।