ভবিষ্যতে অনুজীব নিয়ে গবেষণা হবে মানবজাতির জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার

0
287

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে জীববিজ্ঞান বিষয়ে আয়োজিত উদ্বুদ্ধকরণ একক বক্তৃতা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
পাট ও ইলিশের জীবনবৃন্তান্ত উন্মোচনে নেতৃত্বদানকারী টিমের অন্যতম বিজ্ঞানী, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. হাসিনা খান বলেছেন, খনিজ সম্পদ ফুরিয়ে গেলেও ভবিষ্যতে অনুজীব নিয়ে গবেষণা হবে মানবজাতির জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার। আমাদের শরীরের গঠন, পরিপাকতান্ত্রিক কার্যক্রম, বৃক্ষের পাতা, কাস্টল, ফল থেকে শুরু করে উদ্ভিদ ও প্রাণির মধ্যে যে কতো শত সহ¯্র অনুজীব কাজ করে সে অপর রহস্য এখনও মানুষ উন্মোচন করতে পারেনি। জেনম সিকোয়েন্স উন্মোচন করতে যেয়ে আমরা অনুজীবের এবং বিশেষ করে ব্যাক্টেরিয়া এবং ফাঙ্গাসের কোটি কোটি উপস্থিতি ও রহস্যে ঘেরা কার্যক্রম লক্ষ করে অভিভূত হয়েছি। বিশ্বব্যাপী সূচিত হওয়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এসব অনুজীব ব্যবহার করে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আয়েশা আশরাফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষা সম্পন্নকারী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল। তিনি অনুষ্ঠানের সূচনায় সংক্ষিপ্তভাবে ড. হাসিনা খানের জীবন ও কর্মের উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরেন। বক্তব্যের পর উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত বিষয়ে ড. হাসিনা খান উত্তর দেন।
এসময় জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. রায়হান আলী, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন ছাড়াও কয়েকটি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ শাহাদাত হোসেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যানিমাল সায়েন্স এন্ড নিউট্রিশন বিভাগের প্রফেসর ড. ননী গোপাল সাহা, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড পাবলিক হেল্থ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোস্তফা আনোয়ার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. শেখ মিজানুর রহমান এবং ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দিলারা ইসলাম শরীফ উপস্থিত ছিলেন।