বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের অবদান প্রশংসনীয়

0
174

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ও নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে খুলনার কয়রা উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ৪০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়। পানি বন্দি হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। এই দুঃসময়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগ। ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলোর বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। গত বুধবার দুপুর ও রাতে উপজলার শাকবাড়ীয়া ও কপোতাক্ষ নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয় ৪ টি ইউনিয়নর ৪০ টি গ্রাম। কেদ্রীয় ছাত্রলীগ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু’র নির্দেশনায় বুধবার থেকে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম টিংকু ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদলের নেতৃত্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ ও সাধারণ মানুষের সাথ স্বেছাশ্রম ওই বাঁধ মেরামতর কাজে নেমেছেন একঝাক ছাত্রলীগ কর্মীরা।

গত বুধবার থেকে শুরু করে প্রতিদিন প্রত্যেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মীদের বাঁধ মেরামতের কাজে অংশ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। গত শুক্রবার মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ী পবনা বাউলিয়া ঘাটা বাঁধ মেরামতের জন্য মাইকিং করে লোকজন নিয়ে বাঁধ বাধার কাজ করতে দেখা যায়। শুধু তাই নয় স্বেছাশ্রমে কাজ করতে আসা সাধারণ মানুষের মাঝ পানি খাওয়াতে দেখা যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের। সফলও হয়েছেন। প্রাথমিক ভাব ২টি ইউনিয়নর বাঁধ মেরামত হয়েছে। গ্রাম রক্ষা বাঁধের পানি প্রবেশ আটকানোর জন্যও ছাত্রলীগ কর্মীদর অবদান ছিল প্রশংসনীয়। এর আগে ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদল উপজলার ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদর নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিলন। সাইক্লোন শেল্টার পরিষ্কার, গ্রামের অসচতন মানুষকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সম্পর্কে আগে ও পরে সচেতন করতে মাইকিং, লিফলট বিতরণ, বৃদ্ধ ও শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যবস্থা, আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও বন্যার্তদের জন্য খাবার বিতরণ, বাঁধ সংস্কার কাজ ও উদ্ধার কাজ করেছেন তারা।খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা টাইমস/এমআইআর