বেনাপোলে যুবকের লাশ উদ্ধার

0
251

বেনাপোল প্রতিনিধি:
যশোরের বেনাপোলে গলায় ফাঁস দিয়ে নৃশংশ ভাবে হত্যা করা আল -আমিন ওরফে নয়ন (২৮) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। সে থানার দুর্গাপুর গ্রামের মৃত মিজানের ছেলে। এছাড়া সে বেনাপোল স্থল বন্দরের ৩৭ নং শেডে এনজিও কর্মী হিসাবে কাজ করত।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন দুর্গাপুর গ্রাম থেকে ওই যুবকের লাশটি উদ্ধার করে। এবং আলামত হিসাবে তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে পোর্ট থানা পুলিশ ।
নিহতর বোন লাবনী খাতুন জানায়, রাতে আমরা সবাই একই সাথে রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ি। গভীর রাত্রে কে বা কারা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর সকালে তাকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে ফোনে খোঁজ করতে থাকি। হঠাৎ দেখি বাড়ির পাশে একটি গাছের নিচে সে শুইয়ে আছে। তার কাছে যেয়ে দেখি তার গলায় কিছু পেচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এসময় তার গলায় রক্তের দাগ ও তার মুখের মধ্যে একটি কাপড় দেওয়া ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, হত্যাকরিরা হয়ত মুখে কাপড় দিয়ে ছিল যাতে আক্রমন ও মৃত্যু যন্ত্রনায় সে চিৎকার করতে না পারে। এরপর গলায় তার জাতিয় কিছু পেচিয়ে হত্যা করে। যেহেতু গলায় রক্তের দাগ দেখা যাচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩৭ নং শেডের সহকারী ট্রাফিক পরিদর্শক সন্দিপ ভৌমিক এর কাছে নয়নের সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রথমেই তিনি নয়নের বিষয়ে অস্বিকার করেন। নয়ন যে ওই শেডে কাজ করতো এবিষয়ে সাংবাদিকরা প্রমানে দিলে পরে তিনি স্বিকার করে বলেন, হ্যা তিনি আমাদের শেডে কাজ করতেন তবে নিয়মিত নয়। এছাড়াও তার মৃতের বিষয়ে আমি শুনেছি তবে কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে এবিষয়ে আমি জানি না।
ঘটনাস্থলে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুন খান, ও যশোর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সহ বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি মামুন খান বলেন, আলামত হিসাবে নিহত নয়নের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এটা তদন্ত সাপেক্ষ বলা যাবে কে বা কারা এ নৃশংশ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আছে। তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে।