বুধহাটায় ঈদগাহ ও খেলার মাঠে ভবন নির্মাণ বন্দের দাবী ॥ তদন্তের নির্দেশ

0
449

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার ২২ নং বুধহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বহু গাছ কেটে, খেলার মাঠ বন্ধ করে পশ্চিম দুয়ারী নতুন বিল্ডিং নির্মানের উদ্যোগের প্রতিকারের আবেদন জেলা প্রশাসক মহোদয় আমলে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাশুনিকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার জেলা প্রশাসক মহোদয় এ নির্দেশ প্রদান করেন। বিদ্যালয়ের নামীয় ৫০ শতক জমির উপর বুধহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল বিশিষ্ট দক্ষিণ দুয়ারীভাবে পুরাতন ভবন রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের ক্লাশের স্থান সংকুলান না হওয়ায় সরকারি ভাবে আরেকটি দ্বিতল ভবন নির্মানের প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনে কোন রকমে খেলা করার মত একটি ছোট মাঠ রয়েছে। এ মাঠে পশ্চিম পাশে ফোরকানিয়া মাদরাসা অবস্থিত। মাদরাসার সামনে ঈদগাহ ময়দান। দক্ষিণ পাশে সরকারি সড়ক। মাঠের একটি বড় অংশ দখলে নিয়ে মাঠের পূর্ব পাশে পশ্চিম দুয়ারীভাবে নতুন ভবন নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে মাননীয় জেলা প্রশাসক বরাবর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসী প্রতিকারের আবেদন করলে ২ জুলাই ডিইও’কে জরুরী ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে আদেশ করেন। কিন্তু তদন্ত অনুষ্ঠানের আগেই মাঠ নষ্ট করে এবং সাথে সাথে ১৩/১৪টি বৃক্ষ নিধন ও অর্ধ শতাধিক বছরের দু’টি সবার প্রিয় বিলাতী তালগাছ নিধন করে বিল্ডিং নির্মানের জন্য লে-আউট ও কাজের জন্য বালু আনা হয়েছে। এতে এলাকার মানুষ ফুসে উঠেছেন। এখানে ভবন নির্মান হলে মাঠে খেলা ধুলার সুযোগ নষ্ট হবে। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের ঈদগাহ ময়দানও জৌলুস হারিয়ে মুসল্লি ধারণ অসম্ভব হয়ে পড়বে। বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের স্থান সংকুলান অসম্ভব হবে। মানুষ মারা গেলে এ মাঠেই জানাযা হয়ে থাকে সেটিও কষ্টকর হবে। এলাকাবাসীর দাবী পশ্চিমমুখো সদর করে বিল্ডিং নির্মান করে সকল ব্যাপারে ক্ষতি না করে স্কুলের পুরাতন ভবনের পূর্ব পাশে অবস্থিত ওয়াশ ব্লক ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে বিল্ডিং করলে সবদিক দিয়ে ভাল হবে। স্কুলের জন্য পশ্চিম পাশে ল্যাট্রিন ব্যবস্থা আছে। প্রয়োজনে যেকোন সুবিধামত স্থানে আবারও ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করা যাবে। যেখানে স্কুল প্রতিষ্ঠার পূর্বে খেলার মাঠ থাকা বাধ্যতামূলক সেখানে খেলার মাঠ বন্দ করে ভবন নির্মানের উদ্যোগকে এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছেনা। বাধ্য হয়ে এলাকার হাজার হাজার পুরুষ-মহিলা, অভিভাবক, ছাত্রছাত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষ ১৯ জুলাই মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ গফুর, এসএমসি সভাপতি আঃ হামিদ, মসজিদের ইমাম মাওঃ আঃ ওহাব, জমিদাতা শফিকুল ইসলাম গাইন, ফারুক হোসেন, ইসমাইল হোসেন, আঃ রহমান, আল মামুন, আজহারুল ইসলাম, জয়নাল, ফারুক, আঃ মাজেদ, রাবেয়া খাতুন, সেলিনা খাতুন, শাহিন, আঃ আলিম, সাজু, মধু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এলাকার ছেলে-মেয়েদের জন্য একমাত্র খেলার মাঠ, সুশোভিত বৃক্ষরাজি, ক্রমবর্ধমান মুসল্লি সমৃদ্ধ ঈদগাহ ময়দান বিনষ্ট না করে কিভাবে বিকল্প স্থানে নতুন ভবন নির্মান করা যায় তার ব্যবস্থা নিতে জটিলতা নিরসনে তদন্তের আগে ভবন নির্মান বন্ধ রাখার আবেদন জানালে মাননীয় জেলা প্রশাসক সাতক্ষীলা ২৪ জুলাই ইউএনও আশাশুনিকে সরজমিন তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ নিয়েছেন।