বাজার স্থিতিশীল করতে ভোগ্যপণ্যের আমদানি বাড়াচ্ছে এস আলম গ্রুপ

0
79

ঢাকা অফিসঃ পূর্বের ন্যায় বিগত ৩ মাসেও সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে চিনি, গম ও তেল আমদানিতে
এস. আলম গ্রুপের বৃহৎ অবদান

বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহে ঘাটতি থাকলে স্বভাবতই সেগুলোর দাম বৃদ্ধি পায়। এতে ভোগান্তির সম্মুখীন হয় সাধারণ মানুষ। খুচরা বাজারে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত পণ্য আমদানির মাধ্যমে তা সহজলভ্য করা প্রয়োজন। যাতে পণ্যের সংকট তৈরি না হয়।

দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এস. আলম গ্রুপ প্রতি বছরই চিনি, গম, ছোলা, পেঁয়াজ, তেলের মতো বিপুল পরিমাণে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সচেষ্ট রয়েছে। বিগত সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দেশীয় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ- চিনি, গম ও তেল আমদানি করেছে কোম্পানিটি।

চিনির ৩ মাসের দেশীয় চাহিদা আনুমানিক ৫ লাখ ৫০ হাজার টন, গমের ৩ মাসের দেশীয় চাহিদা আনুমানিক ২১ লাখ টন।

বিগত ৩ মাসে এস. আলম গ্রুপের আমদানিকৃত চিনির পরিমাণ- ২ লাখ ২৫ হাজার ৩ শ টন, আমদানিকৃত গমের পরিমাণ ১ লাখ ১০ হাজার টন এবং আমদানিকৃত ভোজ্যতেলের পরিমাণ- ১ লাখ ১ হাজার ৯১৭ মেট্রিক টন, যেখানে ১৮ হাজার ১ মেট্রিক টন সয়াবিন ও ৮৩ হাজার ৯১৬ মেট্রিক টন পাম ওয়েল রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে এস. আলম গ্রুপ থেকে বলা হয়, “ভোক্তাদের চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। তাই এস. আলম গ্রুপ অতীতের মতো বর্তমানেও জরুরি প্রয়োজনে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ও পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানিতে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আগামী বছরকে ঘিরেও নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, তেল, গম ও চিনির বর্তমান দেশীয় বাজার চাহিদার যথাক্রমে ৩০, ২০ ও ৩৫ শতাংশ পূরণ করে থাকে এস. আলম গ্রুপ, যা ভবিষ্যতে ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে।