বাগেরহাটের কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না

0
190

টাইমস ডেস্ক:
বাগেরহাটের হাটবাজার, অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, গণপরিবহন সবখানেই মানুষের সমাগম ফিরেছে আগের চেহারায়। কিš’ স্বাস্থ্যযবিধি মানা হয় না কোথাও, মানানোরও কেউ নেই। আর স্বাস্থ্যযবিধি মানতে মানুষকে বাধ্য করারও কেউ নেই। তবে জেলা প্রশাসনের প থেকে বলা হ”েছ, প্রচারণার পাশাপাশি নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হ”েছ। আগামী শীত মৌসুমকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন আরও কঠোর অব¯’ানে যাবে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১ হাজার ৬ জন। যার মধ্যে সু¯’ হয়েছেন ৯শ ৬৫ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৬ জন মারা গেছেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ছিলেন ৮শ’১৮ জন। তারপরও স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে মানুষ উদাসীন। কয়েক মাস আগেও সংক্রমণ ঠেকাতে আইসোলেশন, কোয়ারেন্টিন কার্যকর ছিল। রাস্তায় রাস্তায় ছিল আইশ”ড়খলা বাহিনীর তৎপরতা। এখন মানুষের জীবনযাত্রা পুরোটাই কর্মচাঞ্চল্য। বাগেরহাট জেলা সদরের কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, সফি মার্কেট, ফলপট্টি মোড়, কেবি বাজার, সদর হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, কেউ স্বাস্থ্যযবিধি মানছেন না। কারও কারও মুখে মাস্ক দেখা গেলেও অধিকাংশ ক্রেতা মাস্ক ছাড়াই কেনাকাটা করছেন। গণপরিবহনে সামাজিক দূরত্ব তুলে দেওয়া হলেও স্বা¯’্যবিধির কথা বলা হ”েছ। কিš’, কোথাও স্বা¯’্যবিধি নেই। বাগেরহাট সদর হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হ”েছ কর্ত”পকে। সেখানেও নেই স্বা¯’্যবিধির বালাই। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মরিয়ম বেগম বলেন, একসময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসতে ভয় পেতেন। শুনেছিলেন ডাক্তারাও ঠিকমতো চিকিৎসা দিতেন না। এখন চিকিৎসাও দি”েছন আর করোনার ভয়ও তেমন নেই। তাই মেয়েটার শরীরের খোসপাঁচড়ার জন্য ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে এসেছেন। বাগেরহাটের জেলা সদর ছাড়া অন্য উপজেলারগুলোর অব¯’া আরোও নাজুক। রাস্তায় বা বাজারে তেমন কারও মুখে মাস্কের দেখা মিলছে না। পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকানগুলোয় মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে আড্ডা। কোথাও স্বা¯’্যবিধি মানার বালাই নেই। জেলার সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে একসময় সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে প্রবেশ বাধ্যতামূলক ছিল। এসব অফিসগুলোর সামনে হাতধুয়ে প্রবেশ করার জন্য ছিল সাবান ও পানির ব্যব¯’া। এখন অনেক অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, কোথাও সাবান ঝুললেও পানির ব্যব¯’া নেই, আর কোথাও পানি আছে সাবান নেই, আবার কোথাও সাবান পানি কিছুই নেই। বাগেরহাট শহরের কাঁচা বাজারের সব্জি বিক্রেতা নেয়ামত হোসেনের কাছে মাস্ক ছাড়া কেন বাজারে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা যদি হয় কোনও মাস্ক ঠেকাতে পারবে না। আর যদি না হয় কোনও কিছুতেই হবে না। শহরের রিকশাচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, আমাদের করোনা হবে না। করোনায় সব বড়লোক মারা গেছে।’ এটা ভুল ধারণা, এমন কথা বলা হলেও মানতে রাজি নন তিনি। স্বা¯’্যবিধি মানার বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. একেএম হুমায়ুন কবির বলেন, বর্তমানে হাসপাতালকে তিনটি টায়ারে বিভক্ত করা হয়েছে। রেড জোন, ইয়োলো জোন ও গ্রিন জোন। তাই চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা সঠিকভাবে সেবা পা”েছন। ডাক্তার ও নার্সদের নিরাপত্তা সামগ্রীর কোনও কমতি নাই। তিনি স্বা¯’্যবিধি মানার বিষয়ে জন সাধারণকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, শীত মৌসুমে করোনা পুনরায় বেশি শক্তি নিয়ে আক্রমণ করতে পারে। সরকারের নির্দেশনার পর একটি জরুরি সভা করে নানা ধরনের পদপে নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন জনগণকে স্বা¯’্যবিধি মানাতে সচেতনতার পাশাপশি কঠোর অব¯’ান নেবে।