ফকিরহাট পিলজংগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

0
325

ফকিরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের ফকিরহাটের পিলজংগ সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষীকা লাইলী আক্তারের বিরুদ্ধে স্কুল মেজর মেইটেনেন্স এর বরাদ্ধ কৃত অর্থ স্বেচ্ছাচারিতায় খরচের অভিযোগ উঠেছে। এই অর্থ স্কুলের বড় সমস্য গুলি নিরসনের জন্য সরকার বরাদ্ধ দিয়ে থাকেন, অথচ খুদ্র মেইনটেনেন্স বাবদ খরচ করে বাকী টাকা আতœসাতে উদ্দেশ্যে সভাপতিকে না জানিয়ে স্বাক্ষর জাল করে ২ লাখ টাকার বিল জমা করে । ওই বিদ্যালয়ের মেজর মেইটেনেন্স বরাদ্ধকৃত ২ লাখ টাকার বিষয়ে স্কুল কমিটির সভাপতি জানেন না। প্রধান শিক্ষিকা স্কুল কমিটির কাউকে কিছু না জানিয়ে তার ইচ্ছা মাফিক ওই অর্থ দিয়ে স্কুলের খুদ্র মেইনটেনেন্স বাবদ দুটি রুমের রং করিয়ে ৭ টি নরমাল চেয়ার এবং ১ টি হাতল চেয়ার,একটি আলমারী ও একটি ষ্টান্ড ফ্যান ক্রয় করে ২লাখ টাকা উত্তোলনে বিল জমা দেন।
বিষয়টি উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাহিদ সুজার সন্দেহ হলে খোজ নিয়ে জানতে পারে স্কুলে ক্রয় কৃত মালামাল ও রং বাবদ সর্ব সাকুল্যে ১ লক্ষ এক হাজার টাকার কাজ হয়েছে। অথচ প্রধান শিক্ষিকা সে বিল জমা দিয়েছে ২ লক্ষ টাকার। এ ব্যাপারে স্কুল কমিটির সভাপতির কাছে খোজ নিলে তিনি উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যানকে বলেন, বরাদ্ধ কৃত অর্থের ব্যাপারে বা মালামাল ক্রয়ের ব্যাপারে আমি জানি না। আর তখনি ভাইচ চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাহিদ সুজা বিলটি আটকে দেন, বিল অটকে যাবার কারনে স্বাক্ষর জাল- জালীয়াতীর বিষটি সকলের জানাজানি হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা লাইলী আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি রাগান্নিত হয়ে বলেন, আমার সভাপতি এ ব্যাপারে সব কিছুই জানেন। তা ছাড়া আমি একা কোন কাজ করি না। সভাপতির উদৃতি দিয়ে স্বাক্ষরের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে শিক্ষিকা লাইলি বলেন সভাপতির সিল স্বাক্ষর বহু আছে আমার কাছে।
এই প্রতিনিধির সাথে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ আব্দুল মান্নান এর কথা হলে তিনি বলেন স্কুল মেইনটেনেন্স এর অর্থ খরচের জমাকৃত বিল ভাউচারের স্বাক্ষর আমার নয়। তা ছাড়া কত টাকা এসছে কি কি ক্রয় করেছে আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা। প্রধান শিক্ষীকা লাইলী আক্তার আমার স্বাক্ষর জাল করে বিল সামমিট করেছে।
ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন বিষটি আমি শুনেছি এবং বিলটি আটকিয়ে দিয়েছি এবং বলেছি যে ১ লক্ষ ১ হাজার টাকার কাজ হয়েছে আমরা এর বাইরে কোন প্রকার বিল প্রদান করতে পারবো না। তিনি আরও বলেন শুধু এই স্কুল নয় ফকিরহাট উপজেলাতে আরও অনেক স্কুল এধরনের কাজ করেছে যা যাচাই বাছাই করছি প্রমানিত হলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।