প্রি পেইড মিটারে বিদ্যমান দুর্নীতি প্রতিরোধে সংগ্রাম কমিটি

0
234

খবর বিজ্ঞপ্তি:
ওজোপাডিকো গ্রাহকদের কোন সংকট শুনছে না। দিনে দিনে বাড়ছে নানা অসংগতি। রোধ করতে ওজোপাডিকোর নেই কোন উদ্যোগ। এভাবে চলতে থাকলে কোম্পানির পর আস্থা হারিয়ে ফেলতে পারে গ্রাহক। বাড়তে পারে নান সংকট। এতে করে বিদ্যুতের উপর সরকারের দেওয়া নানা প্রতিশ্রæতি বিঘিœত হতে পারে। এভাবে বললেন মতবিনিময় সভায় নাগরিক নেতারা।
আজ বুধবার দুপুর ১টায় বিএমএ মিলনায়তনে প্রি পেইড মিটারে বিদ্যমান দুর্নীতি প্রতিরোধে সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে প্রি পেইড মিটারের দুর্নীতি ও নানা অনিয়ম রোধে আমাদের করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক ও বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম।
তিনি বলেন, ওজোপাডিকোর সাথে আমাদের সংকটের কথা অনেকবার বলা হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের মধ্যস্থতায় সিদ্ধান্ত হয় ওজোপাডিকোর কর্তৃপক্ষ মিলে যে অসংগতিগুলো রয়েছে তা দুইপক্ষকে বসে নিরসন করতে হবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত তোয়াক্কা করলেন না কর্তৃপক্ষ। বরং তাদের অত্যাচারের মাত্রা চালিয়ে যাচ্ছে। আসছে নানা অভিযোগ। কিন্তু নিরসনে নেই কোন উদ্যোগ। তাই এই আন্দোলন চালাতে নিতে হবে কর্মসূচি।
তেল-গ্যাস জাতীয় কমিটির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে বলেন, সিস্টেম লস কমানো এবং আর্থিক অবস্থানকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সেক্টরকে আরো জবাবদিহি এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে ওঠার কথা থাকলেও তা আজ জবাবদিহি এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে। বর্তমান প্রি পেইড মিটারে রয়েছে অনেক অস্বচ্ছতা, যা নাগরিকদের মনে দুর্নীতির সন্দেহ সৃষ্টি করছে। রেগুলেটারি কমিশনের গণ-শুনানি রাজধানীতে না হয়ে খুলনায় হওয়া প্রয়োজন। গ্রাহকদের উপস্থিতির স্বার্থে খুলনায় গণ-শুনানী করার আহবান জানান।
সংগঠনের সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন,যুগ্ম সদস্য সচিব শাহ মামুনুর রহমান তুহিন, নাগরিক সমাজের আহবায়ক এ্যাড: আফম মহসীন, ন্যাপের জেলা সভাপতি মো: ফজলুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদকএস এম ফারুক-উল ইসলাম, জাসদের মহানগর কমিটির সভাপতি খালিদ হোসেন,সাধারন সম্পাদক মো: আরিফুজ্জামান মন্টু, সিপিবি জেলা কমিটির নেতা মিজানুর রহমান বাবু, বাগেরহাটের এ্যাড: শহিদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের এফ এম ইকবাল, মাসাসের কৃষ্ণা দাস, সাংস্কৃতিক কর্মী নূরুন নাহার হীরা, সাংবাদিক এ এম রাশীদুল আহসান বাবলু,ওয়াহিদুজ্জামান সোহাগ, জাতীয় স্বোচ্ছাসেবক পার্টির মহানগর আহবায়ক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, সেফের সমন্বয়কারী মো: আসাদুজ্জামান, সাংবাদিক হেদায়েত মোল্লা,মো: মিজানুর রশীদ, সঞ্জয় কুমার মল্লিক,উন্নয়ন ফোরামের ডা: শেখ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, সম্মিলিত লেখক ফোরামের রেবেকা সুলতানা প্রমুখ। সভায় মেয়রের সাথে মতবিনিময়, দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকদের সাথে মতবিনিময়, ওয়ার্ডগুলোতে মতবিনিময়, গণ- স্বাক্ষর, গণ-শুনানী, মোমবাতি মিছিলসহ ঘেরাও কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে করার সিদ্ধান্ত হয়।
বক্তারা বলেন, সরকার প্রধান যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বারবার ঘোষণার কথা উচ্চারণ করছে ঠিক তখনই ২১ জেলা নিয়ে গঠিত ওজোপাডিকো গ্রাহকদের জোর করে প্রি-পেইড মিটার চাপিয়ে দিয়ে নানা দুর্নীতির মাধ্যমে জনঅসন্তোষ সৃষ্টি করে চলেছে। ওজোপাডিকো এতোটাই বেপরোয়া যে, নাগরিকদের কোনো কথায় তারা কর্ণপাত করছে না।
বক্তারা বরেন, প্রি পেইড মিটার রিচার্জ করার সঙ্গে সঙ্গে রিচার্জের টাকা ও বিভিন্ন খাতে কেটে নেওয়া টাকার মধ্যেও ব্যাপক গড়মিল রয়েছে। ওজোপাডিকোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এতোটাই বেপরোয়া যে, গ্রাহকরা এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা চাইলে তারা উত্তেজিত হন এবং অনিহা প্রকাশ করেন। গ্রাহকরা সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, ওজোপাডিকোর ব্যবহৃত সফটওয়্যার এমনভাবে তৈরি যা গ্রাহকের রিচার্জের টাকা সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে ত্রæটিযুক্ত ও দুর্নীতিগ্রস্থ।