প্রাথমিক ময়না তদন্তে নিহতের শরীরে দৃশ্যত আঘাতের চিহ্ন নেই : সাতক্ষীরা সিভিল সার্জান

0
229

তালা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা তালা উপজেলার জেয়ালা নলতা গ্রামের নলবুনিয়া মৎস্য ঘের সংলগ্ন এলাকায় নিহত লুৎফর রহমান নিকারীর প্রাথমিক ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে। উক্ত রিপোর্টে নিহতের শরীরে দৃশ্যত এবং ময়না তদন্তের সময় কোন মারপিটের কিংবা আঘাতের চিহ্ন পায়নি মেডিকেল টিম। বৃহস্পতিবার (২০ আগষ্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত।
সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত বলেন, নিহত লুৎফর নিকারীর শরীরে দৃশ্যত এবং ময়না তদন্তের সময় কোন মারপিটের কিংবা আঘাতের চিহ্ন পায়নি মেডিকেল টিম। তবে ময়না তদন্তের চুড়ান্ত রিপোর্ট পেতে মাস খানেক সময় লাগতে পারে। তাছাড়া ভিসেরা এবং হিস্ট্রো প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। রিপোর্টগুলো আসলে লুৎফর নিকারীর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে তার শরীরে দৃশ্যত এবং ময়না তদন্তের সময় কোন মারপিটের বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানান সিভিল সার্জন।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তালার জেয়ালা নলতা গ্রামের লুৎফর নিকারীর ছেলে সেলিম নিকারী নলবুনিয়া মাছ ধরছিলেন। তালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমানের মৎস্য ঘের থেকে মাছ চুরির অভিযোগে সেলিম নিকারীকে আটক করে। এ ঘটনায় ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমানকে খবর দেয় ঘেরের কর্মচারীরা। সরদার মশিয়ার রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ঘের কর্মচারীরা সেলিম নিকারীকে মারপিট করে। খবর পেয়ে সেলিম নিকারীর বাবা লুৎফর নিকারী ছেলেকে বাঁচাতে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় লুৎফর নিকারীকেও মারপিট করার অভিযোগ করেন মৃতের পরিবার।এবং এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে সেলিম নিকারী। ঐ মামলায় সরদার মশিয়ার রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্ররণ করনে।