প্রবল বর্ষণে খুলনায় জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগ চরমে

0
559

সাইমুম মোর্শেদঃ তীব্র গরমে বৃষ্টি স্বস্তি ফিরিয়ে আনলেও খুলনাবাসীর জন্য এ এক চরম ভোগান্তির নাম জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী যাত্রীদের জন্য স্বস্তির বৃষ্টি দেখা দেয় অস্বস্তি হিসেবে। রবিবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত থেকেই মহানগরী খুলনাতে থেমে থেমে কখনও হালকা আবার কখনও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল,কলেজ, অফিস, আদালত, ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আর জলাবন্ধতার কারণে রাস্তায় পানি জমে বেশিরভাগ সড়কে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট।

রবিবার বৃষ্টির সময় খুলনার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, অপেক্ষাকৃত নিচু স্থানগুলোতে হাঁটুপরিমাণ পানি জমেছে। সেই পানিতে ভাসছে নোংরা-আবর্জনা। বিশেষ করে মহানগরীর রয়্যালের মোড়,  বাইতিপাড়া, তালতলা, শান্তিধাম মোড়, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, পিকচার প্যালেচর মোড়, পিটিআই মোড়, সাতরাস্তার মোড়, শামসুর রহমান রোড, নিরালা, বাগমারা, মিস্ত্রিপাড়া, ময়লা পোতা, শিববাড়ী মোড়, বড়বাজার, মির্জাপুর রোড, খানজাহান আলী রোড, খালিশপুর, দৌলতপুর,  নতুনবাজার, পশ্চিম রূপসা, আহসান আহমেদ রোড, দোলখোলা, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, বাবুখান রোড, লবণচরা বান্দা বাজার, পশ্চিম রূপসা, খালিশপুর, দৌলতপুর, খানাজাহান আলী, আড়ংঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে।প্রবল বর্ষণে খুলনা নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর অধিকাংশ সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।এতে করে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।

এ ছাড়া নগরীর অধিকাংশ সড়কের পাশে সিটি করপোরেশনের ড্রেন ও ওয়াসার পানির সংযোগ লাইনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কাজ চলায় খোঁড়া গর্তে পানি জমে সড়কের সঙ্গে মিশে সমান হয়ে গেছে। ফলে এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে।

মো. আব্দুল হামিদ নামের এক অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সকাল নয়টা থেকে বিদ্যুৎ বিল দিতে এসে ব্যাংকে বসে আছি, প্রচন্ড বিষ্টিতে বাইরে যাবার উপায় নাই, রাস্তাঘাটে হাটু সমান ড্রেনের নোংড়া পানি,এই পানিতে নামলে বিভিন্ন চর্ম রোগ হবে,পানি নামতে যে কয় ঘণ্টা লাগবে তা বুঝতে পারছি না।এদিকে তো কাকভেজা ভিজেছি।’

চরম বৃষ্টিতে অফিসগামী অনেককেই দেখা গেছে বিভিন্ন দোকানে বা বাস স্টপের ছাউনিতে আশ্রয় নিতে। যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে কেউবা ভিজেই হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।

এদিকে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার এসব কথা বলা হয়। এতে আরও বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে অবস্থানরত মৌসুমী নিন্মচাপটি আরও সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে