পাইকগাছা থানার যুদ্ধাপরাধীর তালিকা

0
282

নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তরের নয় মাস খুলনার পাইকগাছা থানা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কপিলমুনিতে ছিল রাজাকারদের বড় ক্যাম্প। যা আজও উদাহরণ হয়ে আছে। এর বিপরীতে গড়–ইখালী ইউনিয়নের পাতলাবুনিয়ায় বৃহত্তর খুলনার মুজিব বাহিনীর সদর দপ্তর। একই থানার হাতিয়ারডাঙ্গা গ্রামের বাছাড়বাড়িতে স ম বাবর আলীর নেতৃত্বে মুজিব বাহিনীর খুলনাস্থ আঞ্চলিক ক্যাম্প। গড়–ইখালী, পাইকগাছা থানা, বাঁকা ও কপিলমুনির যুদ্ধ স্মরণীয়। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কপিলমুনি ক্যাম্পের রাজাকাররা পরাজিত হওয়ার পর একশ’ পঞ্চান্ন জনের মধ্যে একশ’ একান্ন জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। চার জন পালিয়ে যায়। এমন মৃত্যুদন্ড বাংলাদেশে এই প্রথম।
উল্লেখযোগ্য রাজাকার ক্যাম্পগুলো হচ্ছে, পাইকগাছা হাইস্কুল, গড়–ইখালী ইউনিয়ন কাউন্সিল ভবন, বাঁকা, বোয়াালিয়া ও কপিলমুনি।
পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত রাজাকাররা হচ্ছে শোলাদানা ইউনিয়নের বয়ারঝাঁপা গ্রামের মানিক খাঁ, আহম্মদ খাঁ, আরশাদ খাঁ, নওশের বিশ্বাস, ওহাব বিশ্বাস, রাজ্জাক সানা, নূর মোহাম্মদ খাঁ, খলিল সানা, লুৎফর সরদার লুতু, নূর ইসলাম, ওমর সরদার, কেনাগাজী, রহমান গাজী, হরিঢালী ইউনিয়নের হরিদাসকাটি গ্রামের শেখ জালাল উদ্দিন, মোঃ ফজলুর রহমান, রামনগর গ্রামের সলেমান গাজী, মোঃ আইয়ুব হাজরা, সুলতান মোড়ল, কপিলমুনি ক্যাম্পের রাজাকারদের সহযোগিরা হচ্ছে রামনগর গ্রামের মোকাম গাজীম, শেখ নজরুল ইসলাম, কাজী মুসা, মঈনুদ্দীন মোড়ল, সিলেমানপুরের শাহজাহান সরদার, গড়–ইখালী ইউনিয়নের নূর হোসেন শেখ, রাড়–লি ইউনিয়নের শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের সাহিল উদ্দিন সরদার ও চাঁদখালী ইউনিয়নের দবির উদ্দিন আইন।
উল্লেখ্য একাত্তরের ৭ ডিসেম্বর কপিলমুনি শত্রুমুক্ত হওয়ার পর একশ’ একান্ন জন রাজাকারকে গুলি করে হত্যা করা হয়।