পাইকগাছায় হোটেল রেঁস্তোরা ও চায়ের দোকানে হাজারো মানুষ পান করছে পুকুরের পানি

0
345

অমল কৃষ্ণ মন্ডল, পাইকগাছা:
পাইকগাছার মানুষ প্রতিনিয়ত অস্বাস্থ্যকর বিষাক্ত জিনিষ ভক্ষণ করে যাচ্ছে। পৌর সদরের মিষ্টি পুকুরের প্রসাব ও মল মিশ্রিত পানি দিয়ে খাবার রান্না সহ চা তৈরী হচ্ছে। দেখার কেউ নেই। প্রশাসন সহ জন প্রতিনিধিরা কথার ফুলঝুরি ছড়ালেও বাস্তবে তার লক্ষণ নাই। বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন কি? পাইকগাছার পৌর সদরে মধুমিতা পার্ক নামে ছোট্ট একটি পার্ক রশেছে। যার মধ্যস্থলে রয়েছে মিষ্টি পুকুর নামে একটি পুকুর। উক্ত পুকুরের পানি পান করে পৌর সদর সহ আশ পাশের এলাকার লোকজন।পুকুরের পানি দিয়ে প্রতিদিন পৌর সদরের প্রায় ২০ টি হোটেলে ভাত, মাংস তরিতরকারী রান্না করা হয়।যে রান্না খাবার পাইকগাছার অফিসার মহল থেকে শুর” করে সর্ব স্তরের জনগন ভক্ষণ করে থাকে। প্রতি নিয়ত হাজার হাজার মানুষ এই পুকুরের পানির রান্না খাবার গ্রহণ করে।আবার পাইকগাছায় যখন বড় বড় অনুষ্ঠান হয় তখনও একই পানির রান্না খাবার বিতরণ হয়ে থাকে।এ ছাড়া পাইকগাছায় শতাধিক চা এর দোকানে এই পানি সরবরাহ হয়ে থাকে।যে পানির তৈরী চা পান করে হাজার হাজার জনগন।আবার রয়েছে একাধিক রেষ্টুরেন্ট যেখানে সরবরাহ হয় এই পুকুরের পানি।প্রতিদিন শত শত ড্রাম পানি সরবরাহ হয়ে থাকে।অথচ পুকুরটি সংরক্ষণ না থাকায় পুকুরের চারি পাশে প্রতিদিন শত শত জনগণ প্রসাব করে। আবার রাতের আধারে অনেকে মলমুত্র ত্যাগ করে পুকুর পাড়ে।যে মলমুত্র ও প্রসাব বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে পুকুরের পানিতে মিশে বিশুদ্ধ পানিতে পরিনত হয়। পুকুরটি জেলা পরিষদের হওয়ায় পৌর সভা কোন ভূমিকা পালন করে না। আবার প্রসাশনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্ঘা গ্রহণ করা হয় না। ফলে প্রতিনিয়ত এই বিসাক্ত পানির খাবার খেয়ে ও পান করে বিভিন্ন পানি বাহিত রোগে ভুগছে এলাকাবাসী। অথচ প্রায় দেখা যায়, পাইকগাছা উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে এবং বিভিন্ন এনজিও ও পরিষদের আয়োজনে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর সভা, সমাবেশ, সেমিনার করা হয়।তখন সরকারী কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি এনজিও কর্মকর্তারা বাগিয়ে বক্তব্য দিয়ে থাকেন। মনে হয় উনাদের বক্তব্য চার দেয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। ঐ স্থান থেকে বেরিয়ে বাস্তবতায় রূপ নেয়া খুবই কঠিন। কিন্তু যদি উপজেলা প্রসাশন একটু ভুমিকায় নামেন তাহলে সাধারণ জনগন এই বিসাক্ততা থেকে রেহাই পাবে।অথবা যদি পুকুরটি সংরক্ষণ করে এবং অসচেতন লোকগুলোকে পুকুর পাড়ে প্রসাব বন্ধ করা যায় তাহলেও অনেকটা পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামর”ল হাসান টিপু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,পুকুরটি জেলা পরিষদের হলেও রক্ষণা বেক্ষণের দায়িত্ব পাইকগাছা পৌরসভাকে এগ্রিমেন্ট আকারে অনেক আগে প্রদান করা হয়েছে।পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরও সত্যতা স্বীকার করে বলেন পুকুরটি জেলা পরিষদের।আমাদের অনুকুলে আনার জন্য দু’বার আবেদন করেও ফল হয়নি।তবে কিছুদিন পূর্বে সংরক্ষণের চেষ্টা করেছিলাম। এলাকার সচেতন মহল এই বিশাল জন গোষ্টিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন খাবার খাওয়ানো ও পানি পান করানোর জন্য পুকুরে অস্বাস্থ্যকর ও বিসাক্ত পানি হোটেল, রেষ্টুরেন্ট চা এর দোকান সহ পার্শ্ববর্তী বাড়ীতে সরবরাহ বন্ধ করে পুকুরটি সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।