পাইকগাছায় প্রভাষক মন্টুর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ স্ত্রীর

0
303

কপিলমুনি প্রতিনিধি:
পাইকগাছা সরকারী কলেজের প্রভাষক মাসুদুর রহমান মন্টুর বিরুদ্ধে এবার স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছ। পারিবারিক কলহের জের হিসেবে তিনি তার স্ত্রী রেবা আক্তার কুসুমকে মারপিট করলে গুরুতর আহতাবস্থায় প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোথাও কোন অভিযোগ করা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
অভিযুক্ত মন্টুর বিরুদ্ধে বহুবিবাহের অভিযোগ সেই পুরনো। প্রথম স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে তার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগ রয়েছে আগে থেকেই। এসব ঘটনায় ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত হয়েছে। যদিও সংবাদ সম্মেলনে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি ইতোপূর্বে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রতিবাদও পাঠিয়েছেন।
পাইকগাছা সরকারী কলেজের প্রভাষক মাসুদুর রহমান মন্টু ১৯৯০ সালে সাবেক উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ স ম ইউসুফের একমাত্র কন্যা রেবা আক্তার কুসুমকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের দু’টি ছেলে সন্তান আছে।
পরবর্তিতে ২০০৮ সালের দিকে প্রথম স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে নাজমা আক্তার নামে এক এনজিও কর্মীকে বিয়ে করেন। ২য় স্ত্রীকে বিয়ে করার পর থেকে প্রথম স্ত্রী কুসুমের উপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। সন্তানদের কথা চিন্তা করে প্রথম স্ত্রী বরাবরই সকল নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করে আসছিলেন বলে জানানো হয়েছে। তবে থেমে থাকেননি প্রভাষক মন্টু। ফের ৩য় বারের মত প্রভাষক মন্টু ২০১৬ সালের দিকে পাইকগাছা সরকারী কলেজের আরেক প্রভাষক সহকর্মী সুলতানা জাহান পান্নাকে বিয়ে করেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে সর্বশেষ তিনি অস্বীকার করে আসছিলেন।
নির্যাতিতা কুসুমের ভাই হাদিউজ্জামান বলেন, প্রভাষক মন্টু শনিবার সন্ধ্রা দিকে তার বোনকে ফের মারপিট করেছে। খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে এবং চোখ ও কান আক্রান্ত হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রভাষক মাসুদুর রহমান মন্টু সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছোট ছেলে ও স্ত্রী আমার মায়ের সাথে ঝগড়া করছিলো এমন সময় ঠেকাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত স্ত্রী কুসুমের মুখে একটা চড় লাগে এবং তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরে।