পাইকগাছায় ঝুঁকিপ‚র্ণ অবস্থায় পাউবোর অধিকাংশ বেড়িবাঁধ

0
237

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্ষা মৌসুম আগত প্রায়। এরই মধ্যে বিভিন্ন নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে পাইকগাছায় পাউবোর বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে অনেক এলাকার বাঁধ। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধগুলি মেরামত করে নিজ নিজ এলাকা আপাতত বিপদমুক্ত করলেও তা বর্ষা মৌসুমে পাইকগাছাকে ঠিক কতটুকু নিরাপদ রাখবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। নিজেদের সুরক্ষায় এলাকাবাসী বর্ষার আগেই ঝুঁকিপ‚র্ণ বাঁধ সংষ্কারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। গেল প‚র্ণিমায় উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে জোয়ারের অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধিতে গত মঙ্গল ও বুধবার উপজেলার উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের কাটিপাড়া, দেলুটির জিরবুনিয়া, সোলাদানার গুচ্ছগ্রামসহ কয়েকটি স্থানে পাউবোর দ‚র্বল বেড়িবাঁধে ভাঙ্গনে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঐসকল এলাকার ফসলের ক্ষেত, মাছের ঘের, রাস্তা-ঘাট ও কাঁচা ঘর-বাড়ি।। পরের দিন বৃহস্পতিবার কয়েক শ’ মানুষ নিজেদের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলি মেরামত করেন। পাইকগাছা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস বলছিলেন, বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ার ফলে ৬শ বিঘার চিংড়ী ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ক্ষয় ক্ষতির পরিমান ২০লক্ষ টাকা। অনেক এলাকা ঝুঁকিপ‚র্ণ রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাঁধগুলির স্থায়ী ও টেকসই সংষ্কার না হলে বর্সা মৌসুমে বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ভ‚ক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, প্রতি বছর জোয়ারে পানি বৃদ্ধি ও বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানির চাপে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কর্তৃপক্ষ তড়ি-ঘড়ি কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননা। এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বরাবরই বাঁধ মেরামতে কোমর বেঁধে মাঠে নামলেও কার্যত ক্ষতিগ্রস্ত এসব বাঁধের টেকসই ও স্থায়ী সংষ্কারে কতৃপক্ষ বিশেষ ভ‚মিকা নেননা। পাটকেলপোতা গ্রামের আব্দুলাহ আল মামুন বলছিলেন, লতা, দেলুটি, সোলাদানা ও লস্করসহ যেসব ইউনিয়নের বাঁধ ঝুকিপ‚র্ণ রয়েছে সেগুলো এখনই মেরামত করার দরকার। তা না’হলে আগামী প‚র্ণিমায় আবারও বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, এলাকাবাসির সহযোগিতায় ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলি মেরামত করা হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়প‚র্বক টেকসই ব্যবস্থাগ্রহনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।