পাইকগাছায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র ক্ষতি এড়াতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

0
197

শেখ নাদীর শাহ্ ::

খুলনার পাইকগাছায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র ক্ষতি এড়াতে প্রশাসনের উদ্যোগে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। শুক্রবার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় করনীয় নানা নির্দেশনার পর এ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্র জানায়, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে নিরলস কাজ করে চলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে সর্বোমোট ১০৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ২ হাজার সেচ্ছাসেবক। এসব কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৫৯ হাজার লোকের।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় স্ব স্ব ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য নিজে ২ জন গ্রাম পুলিশ ও ২জন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার নিয়ে সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকবেন। তাছাছা জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ১টি এ্যামবুলেন্স ও ৫ টি মোটরসাইকেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাছা প্রত্যেকটি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের জন্য ৪৮ ঘন্টা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩০ হাজার পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট, ৫ হাজার জারকিউ ও পর্যাপ্ত পরিমানে মজুদ রাখা হয়েছে খাওয়ার স্যালাইন। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে থাকবেন তাদের বাড়ী-ঘর ও মালা-মাল দেখশুনার জন্য বিট অফিসারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্য (ওসি) মোঃ এজাজ শফি জানান, উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, প্রকল্প ব্যস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস ও থানা পুলিশ উপজেলার প্রতিটা ইউনিয়নের আশ্রয় কেন্দ্র গুলো পরিদর্শন ও জনগনকে দ্রুততম সময়ের মধ্য নিকটস্থ নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে উদ্বুদ্ধ করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওসি এজাজ শফী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সমন্বয় করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি এজাজ শফী।
উপকূলীয় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস থেকে রক্ষা ও ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতেই মূলত এ সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।