পাইকগাছায় আগড়ঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে সিডিউল বহিঃর্ভূত কাজের অভিযোগ

0
174

পাইকগাছা প্রতিনিধি:
পাইকগাছায় আগড়ঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪তলা ভবন নির্মাণ কাজে প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় সিডিউলের বাহিরে নিম্নমানের ইট, খোয়া, বালি, রড, সিমেন্ট ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে নিম্নমানের রড, খোয়া, বালি ব্যবহারের অভিযোগে ৪তলার লিন্টন সহ ছাদ ভেঙে ফেলেছে স্থানীয়দের চাপের মুখে ঠিকাদার। জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নে অবস্থিত আগড়ঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় টি ৪তলা ভবন নির্মাণ করার জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনা টেন্ডার নোটিশ দেন, তার নং ২৩/সিপিজি/ইইডি/কেঁজে/এনজিএস এস১৮-১৯ অর্থ বছর তাং ২৫/১১/১৮।যার জেন্ডার নং ২৪৮১৬১তারিখ-১২/৫/১৯, টাকার পরিমাণ ২কোটি ৮৬ লক্ষ ২২হাজার৬০৬ টাকা ।কাজ শুরুর ১৮ মাসের মধ্যে সমাপ্ত করার চুক্তিতে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ টেন্ডার পাই। পরবর্তীতে জনৈক হেমায়েত মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নিকট থেকে ক্রয় করেন। এরপর যশোরের কাকন কুমার বিশ্বাস হেমায়েতের কাছ থেকে ক্রয় করে ১২/৫/১৯ তারিখে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। শুরু থেকে প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেনের সহোযগীতায় ঠিকাদার কাকন নিম্নমানের রড, খোয়া, ইট, বালু ও রড ব্যবহার করে আসছে। অথচ কাজ শুরু করার আগে সাইনবোর্ড টানানোর নিয়ম থাকলেও তা না টানিয়ে কাজ করতে থাকে। ভবনের ৪তলায় লিন্টন ও ছাদে নিম্নমানের খোয়া রড বালু,ইট দিয়ে কাজ করায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নজরে আসে। ম্যানেজিং কমিটি চাপ প্রয়োগ করলে ঠিকাদার ভেঙ্গে ফেলতে বাধ্য হয়। ঠিকাদার জনৈক তাসলিমুর এর বাড়ি থেকে এলাকার পাজার ইট ক্রয় করে কাজ করেছে। এ সব বিষয় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সোমবার জরুরী সভা করে বিষয়টি তিব্র নিন্দা জানায় এবং বালু ব্যবহার না করা ও জনৈক তাসলিমুর কে বিদ্যালয় কোন কিছু দেখভাল না করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিদ্যালয়ের সদস্য সিরাজুল ইসলাম জানান, ৪ তলা বিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় ঠিকাদার নিম্নমানের ইট বালু খোয়া রড ব্যবহার করতে পেরেছে। ভবনের বিভিন্ন জায়গায় বাঁকা সহ বিভিন্ন ত্রুটি দেখা যায়। তাই বিষয়টি তদন্ত হওয়া দরকার। ঠিকাদার কাঁকন বিশ্বাস তার ত্রুটির কথা স্বীকার করে বলেন প্রধান শিক্ষকের কথা শুনে আমি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন জানান, ম্যানেজিং কমিটি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ করার জন্য ৭ সদস্য তদারকি কমিটি করা হয়েছে। তারা দেখভাল করছে। সিডিউলের বাহিরে কোন নিম্নমানের কাজ করতে দেয়া হয়নি। তাসলিমুর এর বাড়ি থেকে ইট এনে কোন কাজ করা হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।