পরিবারে পুষ্টির যোগান দিচ্ছে মুর্শিদার বাড়ির ছাদ

0
958

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুর্শিদা আক্তার রণি। পেশায় একজন ব্যবসায়ী, সমাজসেবক এবং একজন লেখিকা। শখ থেকে কৃষির সাথে ভালোবাসা। তাই এত কাজের ফাঁকেও সময় করে নিয়েছেন বাগান করার। আর এই শখ থেকেই বিভিন্ন ধরনের ফুল, ফল আর সবজির চাষ করেছেন নিজের বাড়ির ছাদে। গাছের উপকারিতা দেখে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন আরও বেশি গাছ লাগানোর। পরে ফরমালিনের ভয়ে নিজেই ফল আর সবজি চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার ছাদের প্রায় ৪ কাঠা জায়গা জুড়ে শুধুই সবুজের সমাহার। শখ থেকে বর্তমানে পরিবারের পুষ্টির যোগানও হচ্ছে তার এই বাগান।

মুর্শিদার বাগানে রয়েছে কলা, লেবু, পেয়ারা, আতা, পেপে, সফেদা, ড্রাগনসহ বেশ কিছু ফলের গাছ। প্রতিদিনের সবজির জন্য এখনো বাগনে রয়েছে লাউ, বেগুন, আলু, শিম, পটল, উচ্ছে আর ঝিঙ্গা। আরো আছে আদা, অ্যালোভেরা, পুদিনাসহ বেশ কিছু দেশী-বিদেশী প্রজাতির গাছ। ছুটির দিন ছাড়াও সময় পেলেই নিজের হাতে বাগানের পরিচর্চা করেন তিনি। যদিও বাগানের দেখাশুনা আর পরিচর্যার জন্য মূল দায়িত্ব পালন করেন সখিনা, জহুরা, নাজিম, খায়রুল আর সালাম।

খুলনার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাছ ব্যবসায়ি জব্বার মোল্লার স্ত্রী মুর্শিদা আক্তার রণি। খুলনা মহানগরীর নিরালার ৬ নম্বর রোডের ৬৬ নম্বর নিজ বাসভবনের ছাদে গড়ে তুলেছেন তার এই শখের বাগান। মুর্শিদা আক্তার রণি বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাগান করার শখ ছিল। গত ’১৫ সাল থেকে নিজের দৃঢ় প্রচেষ্টায় আজ তিনি সফল। সম্পূর্ণ নিজের তত্ত্বাবধায়নে নিরালা ও রূপসা এলাকায় আরও দু’টি বাগান গড়ে তুলেছেন তিনি। প্রতি বছরই এসব বাগান থেকে উৎপাদিত কয়েক মণ ফল ও সবজি বিক্রি হয়। আর এগুলো আত্মীয়-পরিচিতদের মাঝে বিলি করেও আনন্দ পান তিনি।

তিনি বলেন, ‘বড় করে বাগান করার শখ অনেক দিনের। ছোটবেলায় বাবার বাড়িতে বাগান করতাম। নিজেকে কৃষক রূপে দেখতে খুব ভাল লাগতো। সেই ভাবনা থেকেই বাড়ির ছাদে এ বাগান গড়ে তুলেছি। বিভিন্ন দেশ থেকেও সংগ্রহ করেছি গাছের চারা। ব্যবসার পাশাপাশি বাগান নিয়ে ভাবতে ভাবতেই দিন যায় আমার। বর্তমানে ফরমালিনমুক্ত ফল ও সবজি আমার পরিবারের একমাত্র ভরসা।’