পবিত্র মক্কা নগরীর হারাম শরিফের সীমারেখা

0
195

খুলনাটাইমস ধর্মপাতা: বেলায়েত হুসাইন: পবিত্র মক্কা নগরীর হারামে মাক্কি বা হারাম শরিফের সীমারেখার অদূরে পথনির্দেশক দুটি স্তম্ভ রয়েছে, স্তম্ভ দুটি এখানে সমাগত লোকদের এই মর্মে নির্দেশনা দেয় যে এখান থেকেই মক্কার হারাম এলাকার সীমানা শুরু হচ্ছে। অথবা এভাবে বলা যায়Ñএ দুটি ওই জায়গা, যেখান থেকে হারামের সীমানা শুরু কিংবা শেষ হয়।
মক্কা ইতিহাসকেন্দ্রের পরিচালক ডক্টর ফাউজুদ দিহাস জানান, হারামের সীমানার নির্দেশনাস্তম্ভ নতুন কোনো বিষয় নয়; বরং ইবরাহিম (আ.)-এর যুগ থেকেই এটির ব্যবহার শুরু হয়েছে। হারামের সীমানা কিংবা হুদুদে হারামের প্রথম স্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছিল পাহাড়ের চ‚ড়ায়।
তাঁর বর্ণনা মতে, বর্তমানে হুদুদে হারামের চারপাশে যে স্তম্ভগুলো রয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই হারামের নির্ধারিত সীমানার শুরু ও শেষ জানা যায়। ইসলামপূর্ব যুগ থেকেই সুলতান ও শাসকরাও এসব নির্দেশনাস্তম্ভের অনুসরণ করতেন।
নবী (সা.) মক্কা বিজয়ের সময় সাহাবি তামিম বিন আসাদ আল খুজায়িকে হুদুদে হারামের নির্দেশক স্তম্ভগুলো নির্মাণের আদেশ দেন। এরপর পর্যায়ক্রমে খোলাফায়ে রাশেদা, বনু উমাইয়া ও বনু আব্বাসের শাসনামলে মহানবী (সা.)-এর নির্দেশিত স্তম্ভগুলো এভাবেই অপরিবর্তিত থাকে।
ডক্টর দিহাস জানান, চারপাশে পাহাড়ের চ‚ড়ায় নির্মিত ছিল মোট এক হাজার ১০৪টি স্তম্ভ। উত্তর সীমান্তে ৬৫০টি, দক্ষিণে ২৯৯টি এবং পশ্চিমে ৩৮টি। আর এসব স্তম্ভ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রতিটি পাহাড়ে স্থাপিত এসব স্তম্ভ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছিল ভিন্ন পাহাড়ের পাথর, যাতে হজযাত্রীরা দূর থেকেও সেগুলোর সাহায্য নিতে পারেন।
সৌদি আরবের ইতিহাসবিদ ডক্টর ফাউজুদ দিহাস আরো জানান, বর্তমানে হুদুদে হারাম নির্ধারণের জন্য একাধিক নির্দেশনাস্তম্ভ রয়েছে। যেমনÑমক্কা-তায়েফ হাইওয়েতে, মক্কা-তায়েফ হাইওয়ের আঁশ শারায়ে পয়েন্টের শিল্পাঞ্চলের বিপরীতে, উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটির সন্নিকটে, নিউ জেদ্দা মহাসড়কে, নিউ মক্কা রোডে এবং মক্কা-মদিনা হাইওয়ের মসজিদে আয়েশার কাছে। তা ছাড়া মক্কার প্রবেশদ্বারে হারামে মাক্কির আকর্ষণীয় দুটি পথনির্দেশক স্তম্ভ রয়েছে। আসা-যাওয়ার সময় হাজিরা এ দুটি দেখে বুঝতে পারে যে হারামের সীমানা শুরু কিংবা শেষ হচ্ছে।
সূত্র: আল আরাবিয়া