নেত্রকোনায় পায়ের রগ কেটে কৃষককে হত্যাচেষ্টা, আহত ৪

0
278

খুলনাটাইমস: নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে উসমান গণি (৪৯) নামে এক কৃষককে হত্যার চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এছাড়াও পৃথক স্থানে শত্রুতার জেরে হামলার শিকার হয়ে নারী-পুরুষসহ আরও চারজন আহত হয়েছেন। আহত উসমান গণিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হানপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ও রাতে উপজেলার বারহাট্টা ও আসমা ইউনিয়নে এ হামলার ঘটনা ঘটে। কৃষক উসমান গণি আসমা ইউনিয়নের গোড়ল গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। আহতের ছোটভাই ইনসান গণি ও মো. আব্দুল্লাহ্ জানান, গ্রামের বাজারে পাটকাঠি বিক্রি শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন উসমান। পথে দেওপুর ঈদগাহ্ মাঠের কাছে পৌঁছালে আগে থেকে জঙ্গলে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের অলি মিয়া, সাইফুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, হাবিব মিয়া, দিপু মিয়া ও শফিক মিয়া হত্যার চেষ্টায় তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা উসমানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয় এবং ধারালে অস্ত্র দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কোনো রকম প্রাণে রক্ষা পেলে উসমানকে প্রথমে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নেত্রকোনা ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে সল্প-দশাল গ্রামে পৃথক ঘটনায় ছোট ভাই বাবুল মিয়া ও ভাতিজা মোশারফ হোসেনের হামলায় বড়ভাই আলতু মিয়াসহ (৬৫) তার তিন ছেলে-মেয়ে আহত হন। আহতরা হলেন- আল-আমিন (৩২), শাকিল মিয়া (১৮) ও নাদিরা আক্তার (২০)। তাদের বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, প্রতিপক্ষ বাবুল ও মোশারফ বাবা-ছেলে মিলে আলতুর জায়গা-জমি দখল করে উচ্ছেদ করতে পাঁয়তারা করছে। এ কারণে তারা প্রতিনিয়ত তাদের ওপর অত্যাচার করে চলেছে। গত শুক্রবার রাতেও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে অভিযুক্তরা আলতুর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। এ সময় ভুক্তভোগীর ঘর থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। এসব বিষয়ে বারহাট্টা থানার ওসি বদরুল আলম খান জানান, প্রতিটি ঘটনার বিষয়েই থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্তদের আটক করতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।