নারায়ণগঞ্জে ৩৫ আসনের প্রেক্ষাগৃহ চালু হচ্ছে আগস্টে

0
316

খুলনাটাইমস বিনোদন: এক সময় দেশে প্রায় বারোশ’রও বেশি প্রেক্ষাগৃহ ছিল। গত তিন দশকে কমতে কমতে সেই সংখ্যা কমে এসে তিনশ’র নিচে। প্রায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুরনো প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের খবর শোনা যায়। যার ফলে শঙ্কায় রয়েছে ঢালিউড সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। এমন অবস্থায় নতুন প্রেক্ষাগৃহ চালু হওয়ার সুখবর এলো। চারদিকে যখন প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের মিছিল শুরু হয়েছে, ঠিক তখন নারায়ণগঞ্জে চালু হতে যাচ্ছে সীমিত আসনের আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ সিনেস্কোপ। এরইমধ্যে এর সমস্ত কাজ শেষ হয়েছে। অগাস্ট মাসে শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তন ভবনে ৩৫ সিটের প্রেক্ষাগৃহটি বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (এনসিসি) দেওয়া জায়গায় প্রেক্ষাগৃহটি নির্মাণ করেছেন নবাগত চিত্রপরিচালক ও স্থপতি মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। এনসিসি’র সঙ্গে এটি পরিচালনা করবে তার সিনেমা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিনেমাকার। তিনি নিজেই প্রেক্ষাগৃহটির ডিজাইন করেছেন।
গতকাল বুধবার মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, ‘আমি বা আমার মতো যারা ভিন্ন ধারার সিনেমা নির্মাণ করেন। তারা সিনেমা মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রেক্ষাগৃহ পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। তাদের কথা চিন্তা করেই আমি এমন প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণের উদ্যোগ নেই। মূলত আমার ইচ্ছে এটাকে চেইন থিয়েটারে রূপ দিয়ে সারা দেশে প্রেক্ষাগৃহ চালু করা।’
তিনি আরও জানান, সুস্থ ধারার সিনেমা ও রুচিশীল নতুন দর্শকদের কথা স্মরণে রেখে হলটি তৈরি করা হয়েছে। খুব শিগগিরই নারায়ণগঞ্জেই আরেকটি প্রেক্ষাগৃহের কাজ শুরু করবেন তিনি। এরপর রাজধানী বা আশপাশে ছোট পরিসরে নতুন নতুন প্রেক্ষাগৃহ দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন তিনি। সিনেস্কোপে থাকছে অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহের সকল সুবিধা। এতে ফোর কে সিলভারস্ক্রিন এবং ৭ দশমিক ১ ডলবি ডিজিটাল অডিও সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি থ্রিডি সিনেমা দেখারও ব্যবস্থা রয়েছে। দর্শকদের জন্য থাকছে একটি কফিশপও। যে তরুণ নির্মাতারা বাংলাদেশকে নতুনভাবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তাদের সিনেমাই এই প্রেক্ষাগৃহে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রদর্শিত হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চলচ্চিত্রকার, অভিনয় শিল্পী কিংবা কলাকুশলীকে উৎসর্গ করে তাদের সেরা কাজগুলোর প্রদর্শনীও চলবে এতে। এই প্রেক্ষাগৃহে প্রতিদিন একটি শো কেবলমাত্র শিশুদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। যেখানে তারা দেশ-বিদেশের সেরা শিশুতোষ চলচ্চিত্রের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে এবং সুনির্বাচিত থ্রিডি মুভিগুলো তাদের সৃজনশীল বিকাশে সাহায্য করবে। মোহাম্মদ নূরুজ্জামান ‘মাস্তুল’ ও ‘আম কাঁঠালের ছুটি’ নামে দুইটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। দু’টিই মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।