নগরীর ছোঁয়া ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

0
262

ঋতু দে, টাইমস প্রতিবেদক:
দৌলতপুর বীণাপানি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী অঙ্কিতা দে ছোয়া হত্যাকান্ডের রহস্যউদ্ঘাটন এবং খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার বিকেলে খুলনা নগরীর দৌলতপুর এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দৌলতপুর ক্ষুধামুক্ত আন্দোলন, দৌলতপুর পাবলা বনিকপাড়া কালীমন্দির কমিটি, দৌলতপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, পাবলা বনিকপাড়া এলাকাবাসী, খুলনা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ, দৌলতপুর পূজা উদযাপন কমিটি, খুলনা বøাড ব্যাংকের যৌথ ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।
পর্যায়ক্রমে বক্তব্য রাখেন বীণাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা, পাবলা কালীমন্দির কমিটির সভাপতি আশুতোষ সাধু, পাবলা ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ কামরুজ্জামান, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী হারুনুর রশিদ, আওয়ামী সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, দৌলতপুর থানা সেক্রেটারী শহীদুল ইসলাম বন্ধ, সম্মিলিত শিল্পীগোষ্ঠী উদীচী থেকে শাহিনুজ্জামান পণ,খুলনা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ থেকে সভাপতি বাবু বিরেন ঘোষ, দৌলতপুর পূজা উদযাপন পরিষদ থেকে বলরামদও,উজ্জল সাহা দৌলতপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হান্নু মোড়ল সমবেদনা বক্তব্যে পেশ করেন।
পুলিশের তথ্য মতে বাড়ির ছাদে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় শিশুটিকে। ধর্ষনের পর জুতার ফিতা,জালের দড়ি,লাইলন দড়ি দিয়ে শ্বাস রোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী অবস্থায় বাড়ির বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়।সর্বশেষ লাশ পার্লারের বাথরুমে রাখা হয়। বাড়ির মালিক প্রীতম এবং বাড়ির কেয়ার টেকার শ্যামল বিভিন্ন কৌশলে প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়।
২৮ জানুয়ারি বেলা ৩ টার দিকে পাবলা বনিক পাড়া এলাকার লেডিস পার্লারের বাথরুমের ভিতর থেকে একটি মুখবন্দী বস্তা পাওয়া যায়। বনিকপাড়া এলাকার বীণাপাণি নামক চারতলা ভবনের নিচতলায় মেকওভার নমের পার্লারটি অবস্থিত। পার্লারের মালিক বাথরুমের যাওয়ার সময় বস্তাটি দেখতে পায় এবংঅতিরিক্ত দুর্গন্ধের হওয়ার দরুন সন্দেহের ভিত্তিতে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। অতঃপর পুলিশ বস্তাবন্দি লাশটি উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য যে ২২ জানুয়ারি শুক্রবার বেলা বারোটার পর থেকে অংকিতা নিখোঁজ হয়। বাসার কাছাকাছি শিশুটি খেলাধুলা করছিল বলে শিশুটির মা জানায়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যাওয়ার পরও বাসায় না ফেরার কারনে আশেপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে আতœীয় স্বজনেরা। অতঃপর শিশুটির খোঁজ কোথাও না মেলার দরুন আশেপাশের এলাকায় মাইকিং করা হয়। ২২ জানুয়ারি এবিষয়ে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। পরের দিন ২৩ জানুয়ারি সন্দেহেরভিওিতে এবং সাধারণ জিজ্ঞাসাবাদের ভিওিতে এবং জাহাঙ্গীরনামের জনৈক ব্যক্তি এবং তার স্ত্রী সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। এবং দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
শিশুটির বাবা মায়ের লাশ সনাক্তের পর ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয় এবং পরের দিন ২৯ তারিখে ময়নাতদন্ত শেষে রুপসা মহাশ্মশানের তাকে সমাধি করা হয়।
পুলিশের তদন্তে প্রাথমিকভাবে দুজনের ধর্ষন ও হত্যার সম্পৃক্ততা প্রমানিত হয়েছে বলে দৌলতপুর থানার ওসি মো.হাসান আল- মামুন জানান।