নগরীর চাঞ্চল্যকর তয়ন হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শুরু আজ

0
530

নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরীর খালিশপুর থানার চাঞ্চল্যকর কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন (৩২) হত্যা মামলার আর্গুমেন্ট (যুক্তিতর্ক) আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন এ মামলায় ইতোমধ্যে স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামি পরিক্ষার পর্ব শেষ হয়েছে। লোমহর্ষক এ হত্যাকান্ডের চার্জশিটভুক্ত ৭ জন আসামির মধ্যে ৫ জন জামিনে রয়েছেন। এছাড়া একজন জেলহাজতে, অপরজন পলাতক। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দু’জন আসামির স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে এ হত্যকান্ডের রহস্য ইতোমধ্যে সামনে এসেছে। আর্গুমেন্ট অর্থাৎ যুক্তিতর্ক শেষ হলেই চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারন করবে আদালত।
তয়ন খালিশপুর থানাধীন মুজগুন্নী মেইন রোডস্থ কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতার ছেলে। ৩২ বছর বয়সী এই যুবককে ২০১৮ সালের ২৮ আগষ্ট রাতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হত্যা করে একটি ডোবার মধ্যে লাশ চাপা দিয়ে রাখে। পরে মোবাইল ট্রাকিং করে আসামী গ্রেফতারের পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। চলতি বছরেই মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলা হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি খুলনার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করে (দ্রুত মামলা নং-০১/২০২০)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন (৩২) ২০১৮ সালের ২৮ আগষ্ট বিকেলে নিখোঁজ হলে তার পিতা কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতা ওই বছর ৮ সেপ্টেম্বর খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পর খালিশপুর থানা পুলিশ মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে সন্দেহজনক আসামী সাইফুল ইসলাম গাজীকে গ্রেফতার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল স্বীকার করেন যে, তিনিসহ তার সহযোগীরা ২৮ আগষ্ট রাত ৯ থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে তয়নকে হত্যা করে মৃতদেহ বয়রা পুলিশ লাইনের পশ্চিম পাশের মোস্তফা কামালের ডোবা জমির উত্তর পাশের কচুরিপনা ও হোগলা বনের মধ্যে চাপা দিয়ে রেখেছেন। সাইফুলের দেখানো মতে উক্ত ডোবা থেকে পিলার ও বাঁশের সাথে বাধা অবস্থায় তয়নের আংশিক গলিত লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। পরে আসামী সাইফুল ও অপর সহযোগী আসামী কাজী মুরাদ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তারা জানান, তারা দু’জনসহ আরও কয়েকজনে মিলে তয়নকে হত্যা করেন। জবানবন্দিতে কাজী ফরহাদ হোসেন, কাজী সাব্বির হোসেন ফাহিম, কাজী রওনাকুল ইসলাম রনো, কাজী মাসুম ও মো: জাকিরের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ পরে মো: জাকির ছাড়া বাকী আসামীদের গ্রেফতার করেন। এঘটনায় তয়নের বাবা বাদি হয়ে ২০১৮ সালে ৮ সেপ্টেম্বর খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন (নং-১২)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ মিজানুর রহমান ৭ জনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে উল্লিখিত ২২ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনই আদালতে তাদের স্বাক্ষ্য প্রদান করেছেন।