দেশের প্রতি ড. ওয়াজেদের নিঃস্বার্থ সেবার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ

0
286

খুলনাটাইমস ডেস্ক : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী এবং প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়ার দেশের প্রতি নিঃস্বার্থ সেবা, নির্লোভ ব্যক্তিত্ব, দেশপ্রেম এবং মানবিক গুণাবলী সমগ্র জাতি চিরকাল কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রোববার রাতে প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানীর ৭৯তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদ আয়োজিত দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী দিনে আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ছিল ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদ ১৫ ফেব্রুযারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতাসহ ১৬ ফেব্রুযারি সকালে ড.ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সেখানে ফাতেহা পাঠ, বিকেলে দোয়া মাহফিল এবং রাতে স্মৃতি আলোচনা ও পুরস্কার বিতরন। ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা: হামিদুল হক খন্দকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন। মো. জাকির হোসেন বলেন, সমগ্র জাতি ড.ওয়াজেদকে দেশে বিজ্ঞান শিক্ষা এবং গবেষণার বিকাশে অবিস্মরণীয় অবদান এবং নিঃস্বার্থ সেবায় তাঁর আদশর্কে প্রেরণার উৎস হিসাবে চিরকাল স্মরণ করবে। তিনি ড. ওয়াজেদ মিয়াকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে আখ্যায়িত করে দেশকে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ঊৎকর্ষতায় গড়ে তুলতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। ড.ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জাহাঙ্গীর তার স্বাগত বক্তব্যে ড. ওয়াজেদ এর জীবন ও মানবিক গুনাবলীর বিভিন্ন দিক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবাস্তনের জন্য একটি উন্নত দেশ গঠনে তার অসাধারণ অবদানের বিষয় বর্ণনা করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরাফাত রহমান ও ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব তানভীর হোসেন আশরাফী বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং ড.ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আলহাজ্ব খলিলুর রহমান মন্ডল পরমাণু বিজ্ঞানী ড.ওয়াজেদ মিয়ার জীবন, কর্ম, ব্যক্তিত্ব, চমৎকার চরিত্র এবং মানবিক গুনাবলী উপর মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদের কার্যনির্বাহী কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তাহমিনা শিরিনের উপস্থাপনায় উক্ত অনুষ্ঠানে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবি, বুদ্ধিজীবী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, শিশু এবং অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। ড. ওয়াজেদকে একজন সম্পূর্ণ মহৎ চরিত্রের সৎ মানুষ হিসেবে অভিহিত করে বক্তারা বলেন, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে অমরত্ম প্রদানের লক্ষ্যে প্রযুক্তিগতভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে উন্নত একটি আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন। আরাফাত রহমান বলেন, ড. ওয়াজেদের একটি উন্নত বাংলাদেশ গঠনের জন্য জাতির প্রতি তার নিঃস্বার্থ সেবা ও অবদান তরুণ প্রজন্মের সামনে চিরকাল অনুপ্রেরনার উৎস হিসেবে অম্লান হয়ে থাকবে। অধ্যাপক ডা: হামিদুল হক তরুণ প্রজন্মকে ড. ওয়াজেদের আদর্শকে অনুসরণ করার মাধ্যমে প্রকৃত ও নিঃস্বার্থভবে দেশপ্রেমিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর উন্নত সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজেদেরকে নিয়োজিত করার পরামর্শ দেন। পরে প্রধান অতিথি ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদ আয়োজিত শিশুদের প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার, ক্রেস্ট এবং প্রশংসাপত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে রাত ১০ টায় দু’দিনব্যাপী জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠান শেষ হয়।