দেবহাটায় রাস্তার কাজে দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের স্বিকার সখিপুরের চেয়ারম্যান রতনের সংবাদ সম্মেলন

0
475

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা সখিপুরের একটি রাস্তার কাজে দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের স্বীকার সখিপুরের চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন রতন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,আমি ছাত্রলীগ করার মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি শুরু করে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হই। দীর্ঘ রাজনীতির পথ পাড়ি দিয়ে আমার জীবনের অনেক সময় কেটে গেছে। আপনারা জানেন, ২০১৩ সালে আমার উপর জামাত-শিবির হামলা চালায়। তারা আমাকে মৃত ভেবে ফেলে যাওয়ার পরও আমি আল্লাহর রহমত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ আফম রুহুক হক স্যারের চেষ্টায় প্রানে বেঁচে যাই। সে সময়ের সহিংসতায় আমি বেঁচে গেলেও বাঁচতে পারিনি আর এক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হানসহ কয়েক জন। এরপর ২০১৮ সালে বাড়িতে ফেরার পথে আমাকে গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করে সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, উপজেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ওলিউল্লাহ সহ তাদের সহযোগীরা। পর পর ২বারের হামলায় আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রায় সময় অসুস্থতায় ভূগছি। আমার উপর বার বার পরিকল্পিত ভাবে হামলা হওয়াতে সরকারি ভাবে আমি আগ্নেয়স্ত্রের অনুমোদন পাই। বর্তমানে আমার হত্যা চেষ্টা মামলার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী দেওয়া চার্জশীট ভুক্ত আসামীদের বাঁচাতে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্রে নেমেছে একটি মহল। আর এই মামলার আসামীরা বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজের ছত্রছায়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে আবারো আমার উপর হামলার প্রচেষ্টা করছে। এরই জের ধরে গত বুধবার ঈদগাহ হতে মাঘরী-চন্ডীপুর গামী রাস্তার কার্পেটিং এর অনিয়মের প্রতিবাদ করায় অপরাধীদের সমর্থিত একটি চক্র আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয। তারা তুচ্ছ একটি ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করে আমার সন্মান ক্ষুন্ন করেছে । এমনকি তারা অপপ্রচার চালিয়ে আমার আতœরক্ষাকারী লাইসেন্সকৃত বন্দুক বাজেয়াপ্ত করে পুন:রায় আমার উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনার ছক একেছে বলে আমি মনে করি। এতে করে আবারো প্রাণ সংসয়ে রয়েছি।তিনি আরও বলেন, আমার সাংগঠনিক যোগ্যতায় এবং মানুষের ভালবাসায় ২০১৬ সালে সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এরপর থেকে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারায় সখিপুর ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত হওয়ার দ্বার প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছি। আর এই সব উন্নয়নে ঈশ্বর্ণিত হয়ে ঐ চক্রের সদস্যরা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই বহিপ্রকাশ ঘটাতে ঐ চক্রের সদস্যরা একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায়। বুধবার দুপুরে সখিপুর ইউনিয়নের ঈদগাহ হতে চন্ডিপুর গামী সড়কের কার্পেটিং কাজের অনিয়মের কথা শুনে সরেজমিনে দেখতে গেলে সেখানকার দায়িত্বরত উপ-প্রকৌশলী আমার সাথে অসৈজন্য আচারণ করায় সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে সেখান থেকেই সেটি মিমাংশা হয় । কিন্তু আমার হত্যার চেষ্টাকারীরা বিষয়টি ভিন্ন খ্যাতে নিতে নতুন করে অপপ্রচারে নেমেছেন। আমার বিরুদ্ধে সব ধরণের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং এ সকল দূর্নীতি ও ঘটনার সাতে জড়িতদের শাস্তি কামনা করছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সখিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহামুদুল হক লাভলু, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক বিধান বর্মণ, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাশেম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, সাধারণ সম্পাদক বিজয় ঘোষ, স্বেচ্ছসেবকলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম খোকন, সাধারণ সম্পাদক লোকমান কবির, কৃষকলীগের আহবায়ক নির্মল কুমার মন্ডল, সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ হীম, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সুমন, সাধারণ সম্পাদক এ এইচ সোহাগসহ বিভিন্ন পর্যয়ের নেতাকর্মীরা।